ছবি : মেসেঞ্জার
অজ্ঞাত রোগসহ নানা কারনে এই শংকা দেখা দিয়েছে। উপজেলা আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিয়নে এবার এই মরিচ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ আবাদ করা হয়েছিল ২৬৫ হেক্টর জমির চাষ।
তার মধ্যে হাইব্রিড চাষ- ১৫ হেক্টর ও উপজেলা মিষ্টি মরিচের চাষ করা হয় ২১০ হেক্টর জমিতে। বিশেষ করে হালদার পাড়ের মিষ্টি মরিচ দেশের চাহিদা মিটিয়ে ভারত, পাকিস্তান,ওমান, সৌদিআরব,দুবাই, কাতার সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে আসছে বেশিরভাগ প্রবাসীরা।
এছাড়াও দেশীয় বহুজাতিক কোম্পানীরা এই মরিচ মাঠপর্যায় থেকে ক্রয় করে বাজারজাত করে থাকে।এই হালদা নদীর পাড়ের মিষ্টি মরিচ সেচ সুবিধা থাকায় বেশি ফলন হয়।এছাড়াও সাধারণ মরিচ ক্ষেত করা হয় যেসব জমিতে সেচ সুবিধা রয়েছে। কিন্ত অনাবৃষ্টি কারণে সাধারণ জমিতে মরিচ চাষে সেচ প্রদ্ধতি বাধা গ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
সরোজমিনে উপজেলার ছিপাতলী,গড়দুয়ারা,নাঙলমোড়া, গুমানমর্দন,মাদার্শা মোহাম্মদপুর এলাকায় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টি কারনে স্হানীয় খাল ছড়া শুকিয়ে গেছে। তাছাড়া বৃষ্টি তো নেই দীর্ঘদিন সময় ধরে। এই অনাবৃষ্টির কারনে মরিচ ক্ষেতে বিভিন্ন রোগ বিশেষ করে অজ্ঞাত রোগ দেখা দিয়েছে।
কৃষকরা কষ্ট করে মরিচ ক্ষেত করলেও ফলন না হওয়ায় তাদের মধ্যে ও হতাশা চাপ পড়েছে। কৃষি শ্রমিকের স্বল্পতা, মজুরি বেশি, জমির সার ও কীট নাশক প্রয়োগে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে সেই তুলনায় ফলন না হওয়ায় কৃষিজীবিদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। যারা জমি বর্গানিয়ে মরিচের চাষ করেছে তারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানান। এবার বেশির ভাগ তাপদাহ ও অজ্ঞাত রোগে মরিচ গাছ ও মরিচ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে মোহাম্মদপুর এলাকার প্রবীন মরিচ চাষী আলী আহম্মদ জানান, প্রতি বছর মরিচের চাষ ভালো হলেও এবার তেমন ভালো হয়নি। মরিচ গাছে প্রথমে যে হারে মরিচ ধরেছে কিন্তু পরে পরে প্রচন্ড গরমের কারনে ও অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে এক দিকে মারা যাচ্ছে মরিচ গাছ অপর দিকে পচন ধরেছে মরিচের।
এই মৌসুমে বেশিরভাগ কৃষক লোকসানে পড়বে । এতে করে বহু কৃষক অর্থ সংকটে পড়বে। উপজেলার চাহিদা বেশি থাকলেও কিন্তু অঙাত রোগে ও তাপদাহের কারনে ভেস্তে যাবে কৃষকদের আশানুরুপ মরিচ ফলন।
এই ব্যাপারে হাটহাজারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন সিকদার জানান, প্রয়োজন মতো পানি দিতে পারছেনা আর গরমের অতি তাপ মাত্রার কারনে মরিচ গাছের মরন ও মরিচের পছন হচ্ছে । তবে মরিচ চাষীদের আমরা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সাধ্যমতে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।
মেসেঞ্জার/সুমন/আপেল