ছবি : মেসেঞ্জার
পর পর দু'দিন সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রীর পর আজ রোববার (২৮ এপ্রিল) সামান্য কমেছে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা। রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৩ টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ১৯ শতাংশ।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৩ টায় এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪২.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
শুক্রবার (২৬) এপ্রিল ছিল ৪২.৬ ডিগ্রী। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ছিল ৪২.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
'বাতাসের আদ্রর্তা বেশি অর্থাৎ বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশি থাকার কারণে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ মো: জামিনুর রহমান বলেন, 'এ জেলায় তীব্র তাপদাহ চলছে। তাপমাত্রা আজ সামান্য কমেছে। তবে আগামীতে বাড়তে পারে। এরপর মে মাসের কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।'
চুয়াডাঙ্গা জেলা তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন অস্থির হয়ে উঠেছে। তীব্র রোদ আর রোদে আগুনের ফুলকির মতো তেজ যেন মরুভুমির তাপমাত্রা। অতি তাপদাহে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে মানুষ ও প্রানীকুল।
তীব্র রোদের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা কাজ করতে না পেরে অনাহারে দিন পার করছেন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে।
আবার অনেকে জরুরী প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচন্ড তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। তবে রোদের এতো উত্তাপ যে মাথা ঘুরে যাচ্ছে। হিট স্ট্রকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
এদিকে তীব্র তাপদাহে আজ রোববার জেলার স্কুল-কলেজ-মাদরাসাগুলোতে পুরোদমে ক্লাস হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল কম।
চলমান তীব্র তাপদাহে স্কুল খোলার সিন্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এ জেলার অভিভাবকরা। যেখানে জাতি সংঘের শিশূ তহবিল ইউনিসেফ চলতি তাপপ্রবাহে বাংলাদেশের শিশুদের অতি উচ্চ ঝুকির মধ্যে রেখেছে।
মেসেঞ্জার/লিটন/আপেল