ছবি : মেসেঞ্জার
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের(বাপাউবো) উদ্যোগে ‘যমুনা নদী সিস্টেমের বামতীরে সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার নিমিত্ত সম্ভাব্য সমীক্ষা (ফেজ-১)’ শীর্ষক প্রকল্পে প্রস্তাবিত অবকাঠামো পরিকল্পনা এবং তার সামাজিক ও পরিবেশগত প্রভাব বিষয়ক মতবিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল ২৭ এপ্রিল দিনব্যাপী জামালপুর শহরের বেলটিয়ায় লুইজ ভিলেজ রিসোর্ট এন্ড পার্কের সেমিনার কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বাপাউবো’র কেন্দ্রীয় অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী (পুর) মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান এমপি। কর্মশালায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন জামালপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আব্দুর রশীদ ও জামালপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাপাউবো’র অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোঃ জহিরুল ইসলাম, বাপাউবো’র পূর্ব রিজিওনের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোঃ এনায়েত উল্লাহ ও জামালপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ শফিউর রহমান। এর আগে কর্মশালার শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাপাউবো’র পরিকল্পনা পরিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) ও আলোচ্য প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ শরিফুল আলম।
এ প্রসঙ্গে জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজম বলেন, ২০১৪ সালে আমাদের সরকার ক্ষমতায় ছিল। তখন আমরা যারা জামালপুরের সংসদ সদস্য ছিলাম। জনপ্রতিনিধি ছিলাম। তখনই আমরা দেওয়ানগঞ্জ থেকে সরিষাবাড়ী পর্যন্ত যমুনার বামতীরে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছি। আমাদের দাবির প্রেক্ষিতেই একটি সমীক্ষা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।
সমীক্ষা করতে করতে আজকে আওয়ামী লীগ দুটি সরকারের পর তৃতীয় মেয়াদের সরকারের সময় আজকে সেই সমীক্ষা প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করছি। আমরা দাবি জানিয়েছি যমুনার বামতীরে বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে। কিন্তু পরবর্তীতে প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে এখন করা হয়েছে যমুনার পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প।
মির্জা আজম বলেন, আমরা বাঁধের প্রকল্পটি কিন্তু এমনি এমনি চাই নাই। আজ থেকে প্রায় ৬০ বছর আগে দেওয়ানগঞ্জে শেষ প্রান্ত থেকে ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত একটা মাটির বাঁধ নির্মাণ করেছিল তৎকালীন সরকার। সেই শুধু মাটির বাাঁধটি বিভিন্ন সময়ে সংস্কারের অভাবে যমুনার ভাঙনের কারণে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে প্রতিবছর বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে।
প্রকল্প হাতে নিলেও তা বিলীন হয়ে যায়। তাই বিকল্প-২ নয়, বিকল্প-১ প্রকল্পটিই আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা গবেষণা করে বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন তিনি।
এই প্রকল্পটির সমীক্ষা কার্যক্রম চলাকালে সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে আলোচনা করে মতামতের ভিত্তিতে না করায় প্রকল্পটি এখন সমালোচনার মুখে পড়ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট উর্ধতন প্রকৌশলীরা এ কর্মশালায় অংশ নেন।
মেসেঞ্জার/উজ্জল/আপেল
