ছবি: সংগৃহীত
বগুড়ার শহরের একটি বসতবাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিস্ফোরণ ও দেওয়াল চাপায় তিন কিশোরীসহ ৪ আহত হয়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার মালতিনগর মোল্লাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার দুপুরে বাড়ির মালিক রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ। অবৈধভাবে বাড়িতে বিস্ফোরক দ্রব্য রাখায় রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- ঐ এলাকার রেজাউল করিমের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৪), ছোট ভাই রাশেদুল ইসলামের মেয়ে জ্বীম (১৬) ও প্রতিবেশী আলী হোসেন বাবুর মেয়ে বুশরা (১৪) এবং রেজাউল করিমের স্ত্রী। এ ঘটনায় বুশরার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত পৌনে ১০টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পায় স্থানীয়রা। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন বিস্ফোরণে উড়ে গেছে ঘরের আসবাব, ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে বাড়ির দুটি ঘরের সমস্ত কিছু।
এছাড়াও বিস্ফোরণের সময় উড়ে যাওয়া দেওয়ালের বড় বড় টুকরা বাড়ির আশপাশে পড়ে রয়েছে। এমনকি বাড়িতে সেসময় থাকা তিন কিশোরী ভাঙা দেওয়ালের নিচে আহত অবস্থায় পড়েছিল। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বুশরাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
বাড়ির মালিক রেজাউল করিম জানান, তিনি ও তার ভাই রাশেদুল একই বাড়িতে থাকেন। তাদের দুই ভাইয়ের মেয়ের সঙ্গে প্রতিবেশী মেয়েটির ঘনিষ্ঠতা হওয়ায় তারা একই সঙ্গে গল্প করছিল। এসময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হলে তারা তিনজন আহত হয়।
বগুড়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে পটকা তৈরির কাঁচামাল থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ ঐ বাসভবনে থাকা তিনটি গ্যাস সিলিন্ডারই তারা অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন।
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীনুজ্জামান জানান, বিস্ফোরণের ঘটনায় বাড়ির মালিক রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবৈধ ভাবে বিস্ফোরণ দ্রব্য রাখার দায়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মেসেঞ্জার/আলমগীর/ফারদিন