ছবি : মেসেঞ্জার
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে আনারস প্রতীকের খান মামুনের কর্মীদের হামলার শিকার হয়েছেন ৩ সাংবাদিক সহ মটরসাইকেল প্রতীকের এস এম জাকিরের ২ জন কর্মী।
ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাদের আহত করা হয়। এ সময় ভাংচুর করা হয় মটরসাইকেল প্রতীকের নির্বাচনী অফিস। আহতদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার রাতে সদর উপজেলার জাগুয়া ইউনিয়নের চন্ডিপুরে ওই হামলার ঘটনায় বৃহষ্পতিবার (২ মে) কোতোয়ালি মডেল থানায় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনার মূল হোতা বরিশাল সদর উপজেলার জাগুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) সুজন হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আহত ভোরের কাগজের ফটো সাংবাদিক আব্দুর রহমান জানান, বরিশাল সদর উপজেলার জাগুয়া ইউনিয়নের পাঁচগাও চন্ডিপুর এলাকায় আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী খান মামুনের লোকজন তাদের নিজেদের অফিস ভাংচুর করে মটরসাইকেল প্রতীকের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করে
কিন্তু সাংবাদিকরা স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রকৃত ঘটনার সাক্ষাৎকার নিলে তা আনারস প্রতীকের কর্মীরা জেনে যায়। এতে প্রকৃত ঘটনা ফ্লাশ হওয়ার ভয়ে তারা শুরুতে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে মোবাইল ছিনতাই এর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে উপস্থিত সাংবাদিক সহ মটর সাইকেল প্রতীকের কর্মীদের কুপিয়ে আহত করে।
মামলায় জাগুয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য জামাল সর্দার, বর্তমান ইউপি সদস্য সুজন হাওলাদার, তাদের অনুসারী শাহকামাল, আসাদুল, কবির হাওলাদার, মিরাজ ফকির, জালাল ফকির, রমিজ হাওলাদার, সুমন হাওলাদার, সাইদুল সিকদার, লিটন মল্লিকসহ ১২ জনকে নামধারী এবং অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানিয়েছেন, মামলার বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। সেইসাথে ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।
মেসেঞ্জার/পান্থ/আপেল