ঢাকা,  শুক্রবার
১৭ মে ২০২৪

The Daily Messenger

ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির নির্বাচনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:৫২, ২ মে ২০২৪

ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির নির্বাচনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা

ছবি : মেসেঞ্জার

শনিবার (৪ মে) বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির নির্বাচন হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার (২ মে) যশোরের সিনিয়র সহকারী জজ (শার্শা উপজেলা) লাভলী নাজনীন এক আদেশে ওই নির্বাচনে যাতে ভোট গ্রহণ করতে না পারে, সে লক্ষে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।

এর ফলে সমিতির আগের দেওয়া তফসিল অনুযায়ী ভোট গ্রহণ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গেল। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ডিএন তাপস রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদেশে বিজ্ঞ আদালত বলেন, বিবাদীপক্ষ যাতে গত ৩ এপ্রিল তারিখের নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী আগামী শনিবার (৪ মে) ভোট গ্রহণ করতে না পারে, সে লক্ষে বিবাদীপক্ষের বিরুদ্ধে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেওয়া হলো। পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিবাদীগণকে উল্লেখিত কাজ থেকে বিরত থাকতে নিষেধ করা হলো।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির সাধারণ সভা ও নির্বাচন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ এনে সমিতির একজন ভোটার আদালতে পিটিশন (নম্বর ৭৫/২৪) দাখিল করেন।

তার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালত (শার্শা উপজেলা) গত ২৮ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগের বিষয়ে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দেন।

কিন্তু নির্বাচন কমিশন জবাব না দিয়ে নির্বাচনী কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন এমন তথ্য আদালতকে জানানো হলে আদালত সমিতির নির্বাচনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

এর আগে সমিতির সদস্য মো. জয়নাল আবেদীন (ভোটার নম্বর ৫১৩) জানান, বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি (রেজি নম্বর খুলনা-১২৬৭) গত ৩১ মার্চ ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

সেখানে কোনো এজেন্ডা বা সাধারণ সভার নোটিস দেওয়া হয়নি। ইফতার অনুষ্ঠানে যোগদানের পর জানতে পারি কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন করা হবে। এই বিষয়টি কোনো সদস্যই জানতেন না।

তাদের এ কাজে সদস্যরা প্রতিবাদ করেন এবং সাধারণ সভার জন্যে সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ২৩ (খ) ধারা অনুযায়ী নোটিস করার বিধান থাকলেও তা করা হয়নি।

এরপর তারা গত (১৪ এপ্রিল) সরকারি ছুটির দিনে তড়িঘড়ি করে মনোনয়নপত্র বিক্রির দিন ধার্য্য করে। কিন্তু আমরা প্যানেল করতে চাইলে তারা মনোনয়নপত্র বিক্রি করেনি।

এ ঘটনায় সংক্ষুব্ধ ভোটার (নম্বর ৪০১) আল মামুন ও তিনি নিজে (জয়নাল আবেদীন) বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের রেজিস্ট্যার্ড অব ট্রেড ইউনিয়ন্সের পরিচালক বরাবর নির্বাচন বন্ধ এবং নতুন করে সাধারণ সভার মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানান।

তারা কোন পদক্ষেপ না নিলে এরপর গত (২৮ এপ্রিল) আল মামুন বাদী হয়ে সংগঠনের নির্বাচন সংক্রান্ত তফসিল অবৈধ ঘোষণা দাবি করে বাদীদের অনুকূলে ডিক্রি চেয়ে আদালতে মামলা করেন।

মেসেঞ্জার/জামাল/তারেক

dwl

Notice: Undefined variable: sAddThis in /mnt/volume_sgp1_07/tp4l1yw3zz9u/public_html/bangla/details.php on line 770