ঢাকা,  শুক্রবার
১৭ মে ২০২৪

The Daily Messenger

জবি শিক্ষক সেকান্দারের বিচারের সুপারিশ বিভাগীয় কমিটির

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:২৯, ২ মে ২০২৪

জবি শিক্ষক সেকান্দারের বিচারের সুপারিশ বিভাগীয় কমিটির

ছবি : মেসেঞ্জার

ফেসবুক স্ট্যাটাসে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক আবু সালেহ সেকেন্দারের বিরুদ্ধে এবার বিচারের সুপারিশ করেছেন তার বিভাগেরই সকল শিক্ষক। বিভাগটির ১১১তম একাডেমিক সভায় সকল শিক্ষকই সিদ্ধান্ত নেন।

বৃহস্পতিবার ( মে) উপাচার্য বরাবর ইসলামের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান . আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত একাডেমিক কমিটির সকল শিক্ষকের সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে জানানো হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষক আবু সালেহ সেকেন্দার তার ফেসবুকে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের পিএইচডি কমিটি ডিগ্রি প্রদান বিষয়ে মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করেন এবং তিনি বারবার ফেসবুকে এটা পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন।

অথচ অধ্যাপক . আবুল হোসেন কখনই বিভাগের কোন পিএইচডি কমিটির বিশেষজ্ঞ সদস্য ছিলেন না। তার এমন মিথ্যা, বিভ্রান্তিমূলক, অনৈতিক অপরাধমূলক কর্মকান্ডের ফলে . আবুল হোসেনসহ বিভাগীয় চেয়ারম্যান, গবেষক শিক্ষকবৃন্দের সম্মান মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে।

একইসাথে ইসলামের ইতিহাস বিভাগ, নির্বাহী কমিটি, একাডেমিক কাউন্সিল সিন্ডিকেটসহ সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়েছে।

আরো উল্লেখ করা হয়, মাস্টার্স পরীক্ষার থিসিস মূল্যায়নে জালিয়াতি, কোর্স শিক্ষক হিসেবে নারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অপচেষ্টা ইত্যাদির অভিযোগে ২০১৫ সালে একাডেমিক কমিটি তাকে থিসিস গাইড, ক্লাস-পরীক্ষা এবং যাবতীয় কর্মকান্ড হতে অব্যাহতি দিয়ে একাডেমিক কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট বিচার প্রার্থণা করে।

একাডেমিক কমিটি মনে করে সেকান্দারের এরূপ আচরণ অশিক্ষকসুলভ, অনৈতিক অপরাধমূলক। একাডেমিক কমিটির সবাই তার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিদানের প্রয়োজনীয়-ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করছে।

এরআগে ফেসবুকে অশালীন পোস্ট দিয়ে সম্মানহানী করার জন্য গত ৩০ এপ্রিল আবু সালেহ সেকান্দারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়ে বিচার চান সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন . আবুল হোসেন।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের নিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রীর সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রীতিকর অবস্থায় প্রক্টরিয়াল বডির কাছে আটকে পর বিয়ে, ক্লাসে প্রধানমন্ত্রীকে 'ভোট চোর'সহ কটুক্তি, ফেসবুকে ভিসি, ডীন, প্রক্টরসহ সিনিয়র শিক্ষকদের গালিগালাজের অভিযোগে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা।

এসব অভিযোগে শিক্ষক সেকান্দারের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সর্বশেষ সিন্ডিকেটে তদন্ত কমিটিকে খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে।

মেসেঞ্জার/ইমরান/আপেল

dwl

Notice: Undefined variable: sAddThis in /mnt/volume_sgp1_07/tp4l1yw3zz9u/public_html/bangla/details.php on line 770