ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
০২ মে ২০২৪

The Daily Messenger

নেত্রকোণার সবুজ গ্রামে প্রাণ প্রকৃতি মেলা

নেত্রকোণা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৫৫, ২২ জুন ২০২৩

নেত্রকোণার সবুজ গ্রামে প্রাণ প্রকৃতি মেলা

ছবি: টিডিএম

'সবুজ বাঁচাই, সবুজে বাঁচি' এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের সহযোগিতায় নেত্রকোণা সম্মিলিত যুব সমাজ, ফুলপাখি কিশোরী সংগঠন, অক্সিজেন যুব সংগঠন এসএসপিএস এবং অদম্য বাংলাদেশ এর যৌথ আয়োজনে 'প্রাণ প্রকৃতি মেলা' অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) জেলার দরুণবালি সবুজ গ্রামে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

মেলায় ফুল ও মৌসুমী ফল মেলা, প্লাস্টিক দূষণ সচেতনতায় প্রচার, নীম ও পেয়ারা গাছ বিতরণ, সাজনা গ্রামের নারীদের সাজনা শাক বিতরণ, পলিথিনের পরিবর্তে পাটের বাজারের ব্যাগ বিতরণ, পরিবেশ বান্ধব চুলা বিতরণ ও আলোচনা অনুষ্ঠান হয়। 

প্রাণপ্রকৃতি মেলার উদ্বোধন করেন, নেত্রকোণা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আবু সাঈদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাইলাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হক, উজ্জীবিত নেত্রকোণার গবেষণা সম্পাদক আকন্দ সোহরাব উদ্দিন, সাংবাদিক সুজাদুল ইসলাম ফারাস, এএসপিএসের নির্বাহী পরিচালক মুস্তাকিন বিল্লাহ,পল্লীবাংলার পরিচালক মো. সুমন, বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. অহিদুর রহমান, সহযোগি সমন্বয়কারী শংকর ম্রং, অদম্য বাংলাদেশের সদস্য সচিব রনি খান, তাসমিয়া তহুরা ও রোখসানা রুমি, নেত্রকোণা সম্মিলিত যব সমাজের পার্থ প্রতিম সরকারসহ গ্রামবাসি নারী-পুরুষ ও যুবরা। 

প্রথমেই অতিথিদেরকে কুমড়ো গাছের ফুল ও কদম ফুল দিয়ে স্বাগত জানায় ফুলপাখি কিশোরী সংগঠনের সদস্যরা। ফুলপাখি কিশোরী সংগঠনের সভাপ্রধান রুপা আক্তার সবুজ গ্রাম তৈরিতে তাদের গত পাঁচ বছরের কার্যক্রম তোলে ধরেন। 

মেলায় গ্রামের স্থানীয় আম, জাম, কাঠাল, লটকন, কলা, পেয়ারা, গোলাপজাম, জাম্বুরা, বেল, কামরাঙ্গা, খেজুর, জামরুল, গাবসহ ১৫ জাতের ফল প্রদর্শন করা হয়। ফুল মেলায় কিশোরীরা ১৩ জাতের ফুল প্রদর্শন করেন। সবুজ গ্রামের যুবরা গত তিনবছর আগে যে সাজনা গাছ রোপন করেছিলো সেগুলোর শাক, ডাল, সাজনা মানুষের মাঝে বিতরণ করেন। 

আলোচনায় প্রধান অতিথি বলেন, আমাদের পরিবেশ আমরা মানুষের কর্মকান্ডের মাধ্যমে নষ্ট করে ফেলছি। যা থাকার কথা তা নেই। বন, জলাভূমি, ফলের গাছ, স্থানীয় মাছ, বন্যপ্রাণি সবকিছুই আজ হারিয়ে ফেলছি। আমাদের পরিবেশ একটি অপরটির সাথে নির্ভরশীল। বন হারালে পাখি হারায় , মৌমাছি, প্রজাপতি কমে যায়, নদী হারালে মাছ হারায়, পানি হারায়। পলিথিন আমাদের জীবনে এখন ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। আমাদের সকলের সচেতন হতে হবে। উন্নয়ন হবে কিন্তু পরিবেশকে ক্ষতি করে নয়। 

সবশেষে অনুষ্ঠানে গ্রামের অংশগ্রহনকারীদের মাঝে পাটের ব্যাগ, নীম গাছের চারা, সাজনা শাক, ঔষধি গাছ বিতরণ ও মৌসুমী ফল খেয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন হাওর গবেষক আকন্দ সোহরাব উদ্দিন।  

টিডিএম/আরস

dwl
×
Nagad

Notice: Undefined variable: sAddThis in /mnt/volume_sgp1_07/tp4l1yw3zz9u/public_html/bangla/details.php on line 700