ছবি : মেসেঞ্জার
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার যমুনার দ্বীপচর গুলোতে একমাত্র বাহন হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘোড়ার গাড়ি। কালের বিবর্তনে এক সময়র রাজকীয় বাহন ঘোড়ার গাড়ি রুপ বদলালেও প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়নি। শুকনো মৌসুমে ধূ ধূ চরের একমাত্র বাহন ঘোড়ার গাড়ি। চরাঞ্চলের মানুষ নিত্যপ্রয়াজনীয় মালামাল ঘোড়ার গাড়িযাগো বহন করে থাকে।
চরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, নদীর পানি কমার ফলে ঘোড়ার গাড়ি চরাঞ্চল উঁচু-নিচু ও বালুময় পথ পাঁড়ি দিতে অন্যকোন যানবাহন না চলায় একমাত্র ভরসা ঘোড়ার গাড়ি।
উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নর মনিয়া, বরুল, সিদুরতলী, সাপধরী ইউনিয়নর প্রজাপতি চর, শিশুয়া, চঙ্গানিয়া, কাশাড়িডাবা, বিশরশি, মন্ডল পাড়া বাজার, আকদ পাড়া গ্রামর প্রধান বাহন হিসবে চলছে ঘাড়ার গাড়ি।
শুকনো মৌসুমে চরবাসীর কষ্টের ফসল মরিচ, পেঁয়াজ, বাদাম, ভুট্রা, ধানসহ অন্যান্য ফসল পরিবহনে সমস্যা হয়।
মনিয়া চরের ঘোড়ার গাড়ি চালক আব্দুল আলী বলন, বর্ষায় নৌকা আর শুকনায় ঘোড়ার গাড়ি চালাই। ৮০০ থক ৯০০ টাকা আয় হয়। ৩-৪শত টাকায় ঘোড়ার খাবার হয় যায়। বাকি টাকায় সংসার চলে।
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষকরা জানান- গুঠাইল ঘাট থেকে নৌকার পরে ঘোড়া গাড়ী ছাড়া যাতায়াতের আর কোন মাধ্যম নাই। ঘোড়া গাড়ি না পেলে প্রতিদিন প্রায় ঘন্টা খানেক পায়ে হেটে বিদ্যালয়ে আসতে হয়।
বেলগাছা ইউপি চেয়ারম্যান আঃ মালেক জানান- দুর্গম এই চরে ঘোড়ার গাড়িই এখান একমাত্র ভরসা। ফসল তুলে বাড়ি ও হাটে বিক্রি করার জন্য ঘোড়ার গাড়ির ব্যবহার বেড়েছে। রোগীকে ঘোড়ার গাড়িতে হাসপাতালে নিতে চাইলে উঁচু-নিচু রাস্তার ঝাঁকুনিত আরও বেশি অসুস্থ হয় পরে। দূর্গম চরাঞ্চল হওয়ায় এখান চলাচল করা খুবই কষ্টদায়ক।
মেসেঞ্জার/উজ্জ্বল/আপেল