ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
০২ মে ২০২৪

The Daily Messenger

মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

মেসেঞ্জার অনলাইন

প্রকাশিত: ১৮:৫৩, ৬ এপ্রিল ২০২৪

মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গায় শনিবার ( এপ্রিল) এই মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে, হাঁপিয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষ। এছাড়া পুরো সপ্তাহজুড়ে জেলার উপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

এর আগে শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ডিগ্রি।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক আলতাফ হোসেন বলেন, শনিবার দুপুরে ৩৭ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বিকেল ৩টায় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা দেশের চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

তিনি আরও বলেন, এপ্রিলের শুরু থেকে চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় প্রচুর ঘাম ঝরছে এবং গরমের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে।

ধারণা করা হচ্ছে, তাপমাত্রা আগামী কয়েকদিন এমন থাকতে পারে এবং জেলায় মাসে অতি তীব্র তাপপ্রবাহের আশঙ্কা আছে।

আলতাফ হোসেন বলেন, পরিস্থিতি থাকবে আরও কয়েকদিন। দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও অঞ্চলে তেমন সম্ভাবনা নেই।

এদিকে, তীব্র গরমে রোজাদারসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে। বিশেষ করে প্রাণিকূলের অবস্থা আরও খারাপ।

চুয়াডাঙ্গা সদরের আমিরপুর মাঠে গরু চরান জব্বার আলী। তিনি বলেন, যে গরম এতে করে মাঠে দাঁড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। গরুও মাঠে থাকছে না। খুব কষ্ট হচ্ছে। বৃষ্টি হলে ভালো হয়।

ভ্যানচালক মিঠুন মিয়া বলেন, এই গরমে গাড়ি নিয়ে বের হওয়া যাচ্ছে না। সামনে ঈদ অথচ গরমের কারণে যাত্রী নেই। খুব খারাপ অবস্থা।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সাধারণত তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মৃদু তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা যদি ৩৮-৩৯ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে, তবে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০-৪১ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে তা হয় তীব্র বা প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ। আর ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে তা হয় চরম বা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

মেসেঞ্জার/এএইচ

dwl
×
Nagad

Notice: Undefined variable: sAddThis in /mnt/volume_sgp1_07/tp4l1yw3zz9u/public_html/bangla/details.php on line 700