ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
০২ মে ২০২৪

The Daily Messenger

চাকরির আশ্বাসে রিকশা চালকের টাকা হাতিয়ে নিলেন ইউপি চেয়ারম্যান

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৮:০২, ৭ এপ্রিল ২০২৪

আপডেট: ২০:২৫, ৭ এপ্রিল ২০২৪

চাকরির আশ্বাসে রিকশা চালকের টাকা হাতিয়ে নিলেন ইউপি চেয়ারম্যান

ছবি : সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন মানিকের বিরুদ্ধে গ্রাম পুলিশের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে এক যুবকের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে চাকরি না পেয়ে হাফিজ উল্যাহ নামে ওই যুবক শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

একপর্যায়ে তাকে ইউএনওর কার্যালয়ের মেঝেতে হামাগুড়ি দিয়েও কান্না করতে দেখা যায়। 

হাফিজ উল্যাহ কুশাখালী ইউনিয়নের নলডগি গ্রামের রিকশা চালক সেকান্তর মিয়ার ছেলে। তিনিও পেশায় রিকশা চালক। ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশের চাকরিপ্রত্যাশী ছিলেন হাফিজ উল্যাহ।

হাফিজ জানায়, গ্রাম পুলিশের নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে জানতে পেরে তিনি উপজেলা কার্যালয়ে আসেন। কিন্তু পরীক্ষার জন্য তাকে ডাকা হয়নি। বিষয়টি তিনি চেয়ারম্যান মানিকের কাছে জানতে চান। তখন চেয়ারম্যান তাকে জানায়- আগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। এ সময় টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বললে কোনো উত্তর দেয়নি চেয়ারম্যান। একইসঙ্গে সঙ্গে পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী তাকে নেওয়া হবে কি না তা জানতে চাইলেও উত্তর দেয়নি চেয়ারম্যান।

হাফিজ ইউপি চেয়ারম্যানকে টাকা দেওয়ার বিষয়টি দাবি করে বলেন, গরু ও রিকশা বিক্রিসহ ঋণ নিয়ে গ্রাম পুলিশের চাকরির জন্য চেয়ারম্যানকে দেড় লাখ টাকা দিয়েছি। চাকরি তো পেলামই না, এখন টাকাগুলো ফেরত দেবে না। আমি কীভাবে এখন সংসার চালাবো। মানুষের ঋণের টাকা কীভাবে পরিশোধ করবো।

তিনি বলেন, দেড় লাখ টাকাসহ চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র চেয়ারম্যান আমার কাছ থেকে নিয়েছেন। কিন্তু তিনি আমার চাকরির আবেদনই করেননি। অপর প্রার্থীর থেকে আরও বেশি টাকা নিয়ে তার আবেদন উপজেলায় জমা দিয়েছেন। প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি ইউএনওকে জানানো হয়েছে। তিনি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন।

এ ব্যাপারে কুশাখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন মানিকের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেউ যদি কারো কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকেন, তাহলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, শনিবার (৬ এপ্রিল) সদর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ (দফাদার ও মহল্লাদার) নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩৬ জনের বিপরীতে ৪৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।

মেসেঞ্জার/শিবলু/মুমু

dwl
×
Nagad

Notice: Undefined variable: sAddThis in /mnt/volume_sgp1_07/tp4l1yw3zz9u/public_html/bangla/details.php on line 700