ছবি : সংগৃহীত
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আক্তার হোসেন নামে এক ভাংড়ি ব্যাবসায়ী নিহত হয়েছে। সংঘর্ষে পৌর যুবলীগের আহবায়ক শফিকুজ্জামান রাসেলসহ ৮ জন আহত হয়।
সোমবার রাত ৮ টার দিকে শহরের আড়পাড়া (নদীপাড়ায়) সংঘর্ষের পর গুরুতর জখম আক্তারকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে রাত দুইটার সময় সে মারা যায়। আহতদের কে কালীগঞ্জ ও যশোরে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত আক্তার নদীপাড়া এলাকার নুর ইসলামের ছেলে। হামলার ঘটনায় রাতেই কালীগঞ্জ থানায় পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার সন্ধ্যার আগে কালীগঞ্জ পৌরসভার নদীপাড়ার এক শিশু ভাংড়ী ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেনের দোকানে একটি লোহার জিনিস নিয়ে খেলা করছিল। এ সময় দেলোয়ারের ছেলে সজীব ওই শিশুকে চড় খাপ্পড় মারলে শুরু হয় বিবাদ। মাগরিবের নামাজ পর বাড়ী ফেরার পথে কয়েকজন যুবক সজীবকে পিটিয়ে আহত করে। ঘটনাটি জানার ঘণ্টা খানেক পর স্থানীয় বাসিন্দা পৌর যুবলীগের আহবায়ক শফিকুজ্জামান রাসেল মিমাংসার জন্য কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে দেলোয়ারের ভাংড়ির দোকানে যায়। এ সময় সেখানে বাক-বিতন্ডার এক পর্যায় দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এক পর্যাযে সংঘর্ষে রুপ নিয়ে হামলা পাল্টা হামলায় শফিকুজ্জামান রাসেল, শিপন হোসেন, আক্তার হোসেন, আশরাফুল ইসলাম ও সজীব হোসেনসহ উভয় পক্ষের ৮ জন আহত হয়।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে গুরুতর ৩ জনকে তাৎক্ষনিক যশোর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। রাতেই মুমুর্ষ অবস্থায় আক্তারকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পর রাত দুইটার দিকে সে মারা যায়।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু আজিফ জানান, সোমবার রাতে শহরের নদীপাড়াতে স্থানীয় দুটি পক্ষের সংঘর্ষে আক্তার নামে এক ভাংড়ী ব্যবসায়ী নিহত সহ কয়েকজন আহত হয়েছে। সংঘর্ষে আহত শিমুলের মাতা শেফালী বেগম রাতেই ৮ জনের নামে একটি এজাহার দিয়েছেন। অপর গ্রুপের ইব্রাহিম হোসেন বাদী হয়ে ২১ জনের নামে একটি মামলা দিয়েছেন। আইনশৃংলা রক্ষার্তে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে।
মেসেঞ্জার/সজিব