ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের স্বজনদের প্রার্থী হওয়ার ঘটনায় শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এ–সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, যারা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে, তাদের কোনো না কোনোভাবে শাস্তির মুখোমুখি হতেই হবে।
সোমবার (৬ মে) বিকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭৩ জন সংসদ সদস্য দলের মনোনয়ন পাননি। এটা কি একরকম শাস্তি নয়? মন্ত্রিপরিষদে ২৫ জন নেই। সময়মতো শাস্তি হবে। এটা একটা উদাহরণ।
এর আগে বৈঠকে ১৭ মে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের খুঁটিনাটি আলোচনা করা হয়। ২৩ জুন দলের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালনের বিষয়েও আলোচনা হয় বলে বৈঠক সূত্র জানায়।
উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের স্বজনদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, তাঁদের নিবৃত্ত করার জন্য দলের বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের আরও উদ্যোগ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এবার চার ধাপে উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে। এর মধ্যে তিন ধাপের নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা শেষ হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনের তিন ধাপেই মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সন্তান, নিকটাত্মীয় ও স্বজনদের ৫২ জন প্রার্থী রয়েছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাদের কেউ কেউ মনে করছেন, সংসদ সদস্যদের অনেকে ক্ষমতা নিজের হাতে ধরে রাখতে সন্তান বা নিকটাত্মীয়দের ভোটের মাঠে নামিয়েছেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দিনই আগ্রহ ছিল না। মাগুরা মার্কা ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন, ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার, হ্যাঁ-না ভোটে ১১৪ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি—এসবই বিএনপির সৃষ্টি।
মেসেঞ্জার/হাওলাদার