ছবি : মেসেঞ্জার
ঢাকার আশুলিয়ায় গ্যাস লিকেজ থেকে একটি ফার্নিচার গোডাউনে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ২ জনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে আশুলিয়ার কুরগাঁও আমতলা এলাকার মো. শামসুদ্দিনের মালিকানাধীন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন- গোডাউনের ম্যানেজার মো. সুমন (৩০) ও প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া বৃদ্ধা সাজেদা বেগম (৫৫)। তবে দগ্ধ আরেকজন ফার্নিচার কিনতে আসা ক্রেতা। তাঁর পরিচয় জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
দগ্ধ সুমনের ভাই মো. সুজন জানান, আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকায় পাঁচতলা বাসার নিচতলায় ফার্নিচারের গোডাউন। গোডাউনের কর্মচারী সুমন। বিকালে এক ক্রেতাকে নিয়ে গোডাউনের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকতেই সেখানে বিস্ফোরণ হয়। ঘটনার সময় সাজেদা বেগম গোডাউনের দরজার সামনে থাকায় তিনিও দগ্ধ হন।
দগ্ধ সাজেদা বেগমের মেয়ের জামাই আব্দুস সাত্তার জানান, তাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়। ভবনটির ৪র্থ তলায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন তিনি।
জিরাবো মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সায়েম মাসুম বলেন, বিকেলে আমরা বিস্ফোরণের খবর পাই। ওখানে গিয়ে দেখি ততক্ষণে স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলেছে। মূলত একটি আবাসিক বাড়ির ভবনে ফার্নিচারের গোডাউন ভাড়া দিয়েছিল মালিক। বিকেল সোয়া ৫টায় ওই গোডাউন খুলে একজন ক্রেতাকে ফার্নিচার দেখাতে নিয়ে যান দোকানের ম্যানেজার সুমন। এ সময় কোনো ভাবে আগুনের স্পর্শে গোডাউনের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটে আগুন ধরে যায়। তখন গোডাউনে থাকা দুজন ও দেখতে গিয়ে প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া এক বৃদ্ধা দগ্ধ হয়েছেন। পরে তাদের ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
বিস্ফোরণের কারণ জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা জানান, ঈদের আগে থেকে ফার্নিচারের গুদামটি বন্ধ থাকায় ভিতরে গ্যাস জমেছিল। ওই কক্ষে তিতাসের আবাসিক সংযোগসহ রান্নার চুলাও ছিল। সম্ভবত ওই গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকেই জমা গ্যাসে আগুনের স্পর্শে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা জানান, সাজেদার শরীরের ৮০ শতাংশ ও সুমনের ৪৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। দুজনের অবস্থাই আশংকাজনক। ভর্তি রেখে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মেসেঞ্জার/নোমান/ফামিমা