ছবি: সংগৃহীত
টাঙ্গাইলে সদর উপজেলায় রানাগাছা গ্রামের এক পাগলের দায়ের কোপে স্কুল ছাত্র সায়েমের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে গ্রেপ্তার হয়েছে অভিযুক্ত পাগল ওবায়দুর। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো.লোকমান হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
ঘারিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান সাদ্দাম বলেন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে চার বন্ধু মিলে প্রতিদিনের ন্যায় ঘুরতে বের হয়। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৮দিকে ঘারিন্দা ইউনিয়নের রানাগাছা গ্রামের রাইজুদ্দীন মুন্সীর ছেলে ওবায়দুরের সাথে যিনি এলাকায় সবসময়ই হাতে দা নিয়ে থাকে তার কাছে বিড়ি চাওয়াতে কথা কাটাকাটির একপর্যায় নিহত সায়েমকে হাতে থাকা দা দিয়ে মেরে বসে। রাতেই সায়েমকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্মরত ডা.মৃত ঘোষনা করে। তিনি আরও বলেন রাইজুদ্দীন মুন্সীর ছেলে ওবায়দুর এলাকায় পাগল হিসাবে থাকলেও তিনি পাগল না। আসলে পাগলের বেশ ধরে চলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সন্ধার পর সায়েম প্রতিদিনের মত বাড়ি থেকে বের হয়। রাত আটটার দিকে বাড়ির লোকজন জানতে পারে সে গ্রামের রানাগাছা রাস্তার পাশে পড়ে আছে। সায়েমের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের লোকজন চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে দ্রুত টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেয়ার পর সায়েম মারা যায়। সদর উপজেলার রানাগাছা গ্রামের সৌদি প্রবাসী আব্দুল হালিম ছেলে সায়েম। তিনি সদর উপজেলার গোসাই যোয়াইর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র ছিলেন।
টাঙ্গাইল সদর হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এস আই আতিকুর রহমান জানান, স্থানীয় লোকজন ও নিহত সায়েমের স্বজনরা রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। চিকিৎসকরা দ্রুত ব্যবস্থা নিলেও অল্প সময়ের মধ্যেই মারা যায় সে। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এবিষয় টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লোকমান হোসেন জানান, ঘটনা জানার পরই আমরা গোসাই যোয়াইর গ্রামে পৌছাই। ঐ গ্রামে একজন মানুষিক রোগী সবসময়ই হাতে দা নিয়ে ঘুরাফেরা করে। সন্ধার পর সায়েমসহ তিন চারজনের সাথে কথাকাটাকাটি ঘটনা ঘটে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সায়েমের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এছাড়াও ঔ পাগলকে আমরা তার জুপরি একটি ঘরের ভিতর লুকিয়ে ছিল সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করি।
মেসেঞ্জার/উজ্জল/ফারদিন