ছবি : মেসেঞ্জার
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জে ভোটের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে সদর থানায় পৃথক মামলা দুটি দায়ের করা হয়।
একটি মামলায় তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওমর হুছাইন ইবনে ভুলুকে প্রধান আসামি দেখিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদী সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন।
মামলায় চেয়ারম্যান ভুলু এবং নাজিম উদ্দিন নামে একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্য আরেকটি মামলায় অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জানা যায়, রোববার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আঁধার মানিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আক্তার হোসেন বোরহান চৌধুরীর লোকজন পুলিশ ও আনসার সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়ে।
এতে রামগতি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল আলমের গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাঁচ রাউন্ড রাবার বুলেট, চার রাউন্ড গ্যাস সেল এবং দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
এ ঘটনায় সদর থানার (উপ-পরিদর্শক) মো: কাউসার বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
একই সময় ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শহর কসবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স নিয়ে আসার সময় এক পক্ষ পুলিশকে বাঁধা দেয়। সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সেখান থেকে রাতেই পুলিশ নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলুকে আটক করে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন আনোয়ার মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ওমর ফারুক হুসাইন ইবনে ভুলু আনারস প্রতীকে ৭৫৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তার হোসেন বোরহান চৌধুরী পেয়েছেন অটোরিকশা প্রতীকে ৬২৩৯ ভোট। ভুলু ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি।
মেসেঞ্জার/শিবলু/আপেল