ফাইল ছবি
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের একদম শুরু থেকেই খেলছে বাংলাদেশ। প্রথম বিশ্বকাপেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সুপার এইটেও উঠেছিল টাইগাররা। বাংলাদেশের ব্যাটাররা স্ট্রোক খেলতে পছন্দ করেন বলে এই সংস্করণে ভালো কিছুর সম্ভাবনাই দেখছিলেন দেশের ক্রিকেটবোদ্ধারা। কিন্তু হতাশ হতে হয়েছে। ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই সংস্করণে এখনও শিক্ষনবিশ পর্যায়েই আছে টাইগাররা।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের স্কটল্যান্ড, হংকংয়ের মতো সহযোগী দেশের কাছেও হারার অভিজ্ঞতা আছে। আর এর বেশিরভাগই ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণ হেরেছে টাইগাররা। ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মূলমন্ত্র হলেও বাংলাদেশের ব্যাটিং এখনও মান্ধাতার আমলে পড়ে আছে। আইপিএলে এবার যখন প্রতি ম্যাচেও রানের বন্যা বয়ে যাচ্ছে, দুইশ-আড়াইশ রান করেও হারতে হচ্ছে দলগুলোকে, সেখানে জিম্বাবুয়ের দেওয়া মামুলি লক্ষ্য পার হতে বাংলাদেশের ঘাম ছুটে যাচ্ছে।
জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। সেই বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ২০ দলের অধিনায়কের ব্যাটের দিকে তাকালেও বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের দুর্দশার চিত্র অনেকটাই বোঝা যাবে। গত এক বছর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে অধিনায়কত্ব পাওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত এই মুহূর্তে সব ফরম্যাট মিলিয়েই দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটার। অথচ তিনিই টি-টোয়েন্টি স্ট্রাইক রেটে বাকি দলের অধিনায়কদের তুলনায় বেশ পিছিয়ে।
শান্ত ঠিক কতোটা পিছিয়ে তা একটা তথ্যেই পরিষ্কার। এবারের বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর অধিনায়কের মধ্যে শুধু একটি দলের অধিনায়কেরই স্ট্রাইক রেট শান্তর চেয়ে কম। আর সেই দলটি হচ্ছে প্রথমবারের মতো আইসিসি আয়োজিত কোনো ধরনের বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া উগান্ডা। বাকি ১৮ দলের সব কয়টির অধিনায়ক স্ট্রাইক রেটে শান্তর চেয়ে এগিয়ে।
এখন পর্যন্ত ৩৩টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ২৬.৪০ গড়ে ৭১৩ রান করেছেন শান্ত। তবে এই রান তিনি করেছেন মাত্র ১১১.০৫ স্ট্রাইক রেটে। অন্যদিকে বিশ্বকাপে উগান্ডার নেতৃত্বভার পেয়েছেন যে ব্রায়ান মাসাবা, ৫৯ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তার স্ট্রাইক রেট ১০৭.৯৪। ১৮.১২ গড়ে তিনি ৪৩৫ রান করেছেন। তবে শান্ত পুরদস্তুর ব্যাটার হলেও মাসাবা মূলত একজন বোলার।
স্ট্রাইক রেট কম হলেও অধিনায়ক হিসেবে মাসাবা দারুণ সফল। সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জেতায় পাকিস্তানের বাবর আজমের সঙ্গে তিনিই যৌথভাবে শীর্ষে। বাবর ও মাসাবার নেতৃত্বে পাকিস্তান-উগান্ডা সমান ৪৪টি করে ম্যাচ জিতেছে।
এবারের বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া দলগুলোর অধিনায়কদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেট দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মার্করামের। ৩৯ টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ারে ৩৮.৫৫ গড় ও ১৫০.৬৭ স্ট্রাইক রেটে ১১১৮ রান করেছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। অধিনায়কদের মধ্যে এবার শুধু তারই স্ট্রাইক রেট ১৫০ এর বেশি।
মেসেঞ্জার/হাওলাদার