ঢাকা,  রোববার
২৮ এপ্রিল ২০২৪

The Daily Messenger

উন্নয়নের ছোঁয়া পেতে যাচ্ছে তিন প্রজন্মের অবহেলিত জনপদ

মেসেঞ্জার অনলাইন

প্রকাশিত: ২১:৫৭, ১৫ মার্চ ২০২৪

উন্নয়নের ছোঁয়া পেতে যাচ্ছে তিন প্রজন্মের অবহেলিত জনপদ

ছবি : মেসেঞ্জার

মানিকগঞ্জ জেলা থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরের এক গ্রাম বীরকাকালি। দৌলতপুর থানার ধামশ্বর ইউনিয়নের এই গ্রাম যেন অবহেলিত জনপদের আরেক নাম। সামান্য বৃষ্টিতেই যেখানে নেমে আসে দুর্বিষহ বিপদ। আর বর্ষাকালে গৃহবন্দি হয়ে পড়েন গ্রামের বাসিন্দারা। ডিঙ্গি নৌকাই যেখানে শেষ বাহন।

স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের যাতায়াত হয়ে পরে অসহনীয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশে উন্নয়নের জোয়ার লাগলেও ব্যতিক্রম ছিলো বীরকাকালি গ্রাম। অনিশ্চিত যাতায়াতের ঘুর্ণিপাক থেকে মুক্তি পেতে চলেছে এই এলাকার বাসিন্দারা। 

সম্প্রতি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বৃহত্তর ঢাকার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৪ (১ম সংশোধিত) এর আওতায় গ্রামের একমাত্র রাস্তাটি পাকা করার কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তার ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।

এমন দুর্বিষহ জীবন থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে মানিগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার ধামশ্বর ইউনিয়নের বীরকাকালীসহ তিন গ্রামের মানুষ। স্বাধীনতার পর এই প্রথম পাকা রাস্তা পেতে চলেছে অবহেলিত এই জনপদের বাসিন্দারা।

সম্প্রতি দৌলতপুর থানার কাপশাইল হতে বীরকাকালি গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার দৈর্ঘের কাঁচা রাস্তাটি পাকা করার কাজ শুরু হয়েছে। বৃহত্তর ঢাকার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৪ (১ম সংশোধিত) এর আওতায় রাস্তাটি পাকা করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।

মাঝে এলাকার রাস্তাকে কেন্দ্র করে নানা চক্রান্ত হলেও সব বাধা পেরিয়ে শুরু হচ্ছে উন্নয়ন কাজ। বীরকাকালিবাসীর প্রাণের এই রাস্তার মাপামাপির সময় জড়ো হচ্ছিলেন এলাকার তিন প্রজন্মের মানুষ। রাস্তার কাজ শুরুর খবরে যেন খুশির জোয়ার বইছে পুরো এলাকায়।

এলাকাবাসীর উন্নয়নের পেছনে বড় অবদান এই গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের। তিনি জানান, চক্রান্তকারীদের সব বাধা পেছনে ফেলে রাস্তার কাজ শুরু হচ্ছে। যার পুরো কৃতিত্ব এলজিইডির। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দূর করতে এই রাস্তা বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।

গ্রামের আরেক বাসিন্দা আইনজীবী সেলিম দেওয়ান জানান, নানা জটিলতায় এতদিন ধরে অবহেলিত ছিল গ্রামবাসীরা। অবশেষে আমাদের প্রাণের দাবিটি পূরণ হতে চলেছে।

কলেজ পড়ুয়া তুষার দেওয়ান বলেন, কাঁচা রাস্তাটি অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। গ্রামের বাসিন্দাদের কষ্ট লাঘবে দ্রুতই রাস্তাটি পাকা করা হবে। এরচেয়ে আনন্দের আর কিছু নেই।

প্রকল্পের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুতই কাজ শেষ করার। কাপশাইল বাজার থেকে বীরকাকালি পর্যন্ত সড়কের কাজ শেষে শুরু হবে দ্বিতীয় প্রকল্পের কাজ। দ্বিতীয় সড়কটির সীমানা হবে মহিরউদ্দিন দেওয়ানের বাড়ি পর্যন্ত।

মেসেঞ্জার/সজিব/সুমন

dwl
×
Nagad