ছবি : মেসেঞ্জার
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে অব্যাহতির পর এবার কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
গত ৭ মার্চ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিনের গাড়িতে হামলার ঘটনায় এবং অব্যাহতভাবে দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তার বিরুদ্ধে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
বৃহস্পতিবার জেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টার।
শুক্রবার গণমাধ্যমে দেয়া প্রেস বিজ্ঞতিতে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বেশিরভাগ সদস্যের উপস্থিতিতে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনের আগে ও পরে দলীয় নেতাকর্মীদের উপর হামলার ও মামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
সভায় গত ৭ মার্চে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা শেষে সংসদ সদস্য আজাদের নির্দেশে জেলা সভাপতি ম. রুহুল আমিনের গাড়িতে হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে আজাদকে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগকে ধণ্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।
এছাড়া আজাদ ওই ঘটনায় স্থায়ীভাবে দলের সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। পাশাপাশি ঘটনার জন্যে দায়ী ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রে আবেদন করারও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ৭ মার্চে হামলার ঘটনায় চান্দিনা থানায় দায়ের করা মামলার অগ্রগতি না হওয়ায় সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় সভায়।
আবুল কালাম আজাদ ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য মনোনীত হন।
বিষয়টি নিয়ে কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাষ্টার ’দ্য ডেইলি মেসেঞ্জা ‘কে বলেন, এমপি আজাদ সীমা ছাড়িয়ে গেছেন। তাই তাকে বহিস্কার করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের ভোটে তিনি পাশ করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদেরকে নির্যাতন করছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ তার নির্যাতনের বিরুদ্ধে এখন মাঠে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
আর এ বিষয়ে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের বক্তব্য নিতে বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।
মেসেঞ্জার/আপেল