ছবি : মেসেঞ্জার
পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী বুনন শিল্প, জুমে উৎপাদিত ফসল, জুমের বীজ সংরক্ষণ ও প্রদর্শন বিষয়ে রাঙামাটিতে দিনব্যাপী জুম উৎসব মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৩১ মার্চ)সকালে শহরের সাবারাং রেস্টুরেন্টে জুম উৎসবের মেলাটি যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করেছে চাকমা রাজ কার্যালয়, তারুম ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ও টংগ্যা এনজিও সংস্থা।
এ মেলায় চাকমা ও ম্রো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র সিঙে ও প্ললং সুরে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বালনের মধ্যদিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন চাকমা সার্কেল চীফ দেবাশীষ রায়।
আয়োজক কমিটি জানিয়েছে, পাহাড়ীদের প্রাচীনতম বুনন শিল্পগুলো বর্তমানে হারিয়ে যেতে বসেছে। নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে ও প্রাচীনতম এ বুনন শিল্পের নকশা (আলাম)গুলোকে কাজে লাগিয়ে নিয়ে কাপড়চোপড় তৈরী করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানো।
এছাড়াও জুমিয়াদের আদিকাল থেকে চাষ করা,জুম ধানের বীজ ও বিভিন্ন ফসলের বীজ ইত্যাদি সংস্কৃতিগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে। পাহাড়ে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর কাছে সেসব জুমের ফসলের বীজের প্রদর্শন ও প্রচারের জন্য এ মেলার আয়োজন করা হয়।
দিনব্যাপী জুম উৎসব মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, বিশিষ্ট হস্তশিল্পবিদ মঞ্জুলিকা চাকমা, কৃষিবিদ পবন কুমার চাকমা, শিক্ষাবিদ অঞ্জুলীকা খীসা, উন্নয়ন কর্মী ইলিরা দেওয়ান, বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরোত্তম তংচংগ্যা প্রমুখ।
জুম উৎসবে তিন পার্বত্য জেলা থেকে চাকমা, ত্রিপুরা, মারমা,ম্রো,খুমিসহ বিভিন্ন সম্প্রদায় লোকজন এ মেলায় অংশ নেন। নিজ জাতির ঐতিহ্যবাহী ফসলের বীজ, বাধ্যযন্ত্রসহ অনেককিছু মেলায় প্রদর্শনী করা হয়েছে।
এছাড়াও চাকমা নারীদের পরনের পিনোন হাদিতে ব্যবহৃত যে ফুলের নকশা আলাম রয়েছে সেটিও বুননের মাধ্যেমে প্রদর্শনী করা হয়। পাশাপাশি জুম চাষের ধানের বীজসহ নানান জাতের তিল, সবজির বীজ ও বিভিন্ন উপকরণ প্রদর্শিত হয়। উৎসব চলাকালে জুম চাষ ও বুনন শিল্প নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
মেসেঞ্জার/শুভ/আপেল