ছবি : মেসেঞ্জার
বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্কুলে ১৪৩০ মৌসুমের মধু আহরণের মৌসুম উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে বুড়িগোয়ালীনি ফরেস্ট সরকারি স্কুলে পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের আয়োজনে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগীয় বনকর্মতা ড. আবু নাসের মোহসীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য এসএম আতাউল হক দোলন।
অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এমকেএম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী, শ্যামনগর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আইয়ুব ডলিসহ বিভিন্ন মৌয়াল ও মধু ব্যবসায়ী উপস্থিতি ছিলেন।
এসময় বক্তরা বলেন, সাতক্ষীরা সুন্দরবনে যে মধু পাওয়া যায়। এটি আর কোথায় পাওয়া যায় না। হাতে গোনা দুই একজন অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে দুর্নাম হয়েছে। সুন্দরবনের সিংহভাব বাংলাদেশেও ভারতীয় অংশ সমৃদ্ধ। এটি কাটিয়ে উঠতে হবে। তবে সুন্দরবনের আগে তুলনায় সংরক্ষণ করা গেছে। আমাদের বন বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তা না হলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে আগামী ১০০ বছর বঙ্গোপসাগরে তলিয়ে যাবে।
বক্তারা আরও বলেন, সড়ক পথে সুন্দরবন দেখতে চাই। সেজন্য মৌ জাদুঘর করা হয়েছে। সুন্দরবনের অনেকগুলো পর্যটনকেন্দ্র করা হয়েছে। আগামী দিনে আরও করা হয়ে। সুন্দরবনের বিভিন্ন পশুপাখি, গাছ, মৌমাছি দেখি উপার্জন করবেন। আর আপনাদের সুন্দরবনের গাছ কাটা লাগবে না। ট্যুরিজম শিল্প যত বেশি বিকশিত হবে। ট্যুরিজম শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। যারা হরিণ শিকার করত। বিষ দিয়ে মাছ শিকার করতো তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে ঘৃণিত কাজ না করার অঙ্গীকার করেছে। সাতক্ষীরা রেঞ্জে লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মধু পরীক্ষা নিরিক্ষা নিরীক্ষার ল্যাব স্থাপন করা হবে। ১০ জন হরিণ শিকারী ও বিষ দিয়ে মাছ শিকারি আত্মসমর্পণ করেন।
এবারের মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ৯৫০ কুইন্টাল, মৌমা হরণের লক্ষ্যমাত্রা ২৮৫ কুইন্টাল। বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১৫৩ টি নৌকা সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে। যার মধ্যে সহস্রাধিক বনজীবী মৌয়ালরা জঙ্গলে প্রবেশ করেছে।
মেসেঞ্জার/আসাদ/শাহেদ