ছবি : মেসেঞ্জার
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের বাস্তা বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব পাশে কাটুন প্রস্তুতকারক ফ্যাক্টরী ‘এম এন প্যাকেজিং এন্ড প্রিন্টিং এক্সেসরিজ ’ এর বিরুদ্ধে তিন ফসলি জমিতে বালু ভরাটের অভিযোগ ওঠেছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির জনৈক কর্মকর্তার দাবি, জমি তাদের ফ্যাক্টরীর নামে ক্রয় করা। ফসলি জমি নষ্ট হলেও তারা কোনো অপরাধ করেননি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ফ্যাক্টরীর পাশেই উত্তর দিকে ট্রাক দিয়ে চলছে কৃষি জমিতে মাটি ভরাটের কাজ। আর এ কাজের দেখভাল করছেন ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আবু তাহেরসহ বেশ কিছু লোকজন।
স্থানীয়রা অভিযোগে করে বলেন, প্রতিষ্ঠানের মালিক আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ থেকে কিছু জমি কিনে এলাকার মানুষের চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করছেন।
যে কারণে কৃষকরা তাদের জমি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। অতি সহজে তারা এসব তিন ফসলি জমি ভরাট করে তাদের প্রতিষ্ঠানটি প্রসস্থ করছে। ফলে স্থানীয় কৃষি জমি হ্রাস পেয়ে ফসল উৎপাদন কমে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা হাজি সমেজ উদ্দিন অভিযোগে করে বলেন, আমি জমি নিয়ে আদালতে দেওয়ানী মামলা করলেও আমার প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বিরোধপূর্ণ জমি কিনে কার্টুন ফ্যাক্টরীর লোকজন সেই জমি দখলের চেষ্টা করছে।
অপর দিকে, বাস্তা গ্রামের আওলাদ হোসেন মঞ্জু বলেন, ওই ফ্যাক্টরীর লোকজন এলাকার মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। এ নিয়ে একাধিকবার বিচার সালিস হয়েছে।
এম এন প্যাকেজিং এন্ড প্রিন্টিং এক্সেসরিজের ম্যানেজার আবু তাহের বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের ক্রয় করা জমিতে মাটি ভরাট করছি। কৃষি বা ফসলি জমি ভরাট করা যাবে না এমন আইন আমার জানা নেই। তবে এলাকার মানুষকে হয়রানির বিষয় অস্বীকার করেন তিনি।
ধল্লা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, এলাকাবাসির অভিযোগের ভিত্তিতে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে কৃষি জমি ভরাট করতে বন্ধ করতে বলেছি।
অনাপত্তি পত্রের সরকারি সকল শর্ত না মানলে বিধি মোতাবেক অনাপত্তি পত্র বাতিল করা হবে। প্রতিষ্ঠানটির এমন কর্মকান্ডে ট্রেড লাইসেন্সে বাতিল বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসু বলেন, ফসলি জমি ভরাট করে থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মেসেঞ্জার/মিজান/তারেক