বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার ৮ জন। ছবি: সংগৃহীত
বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে যৌথ অভিযানে বহিষ্কৃত রুমা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ পাহাড়ি স্বশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর আরও ৭ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রুমার মুনলাই পাড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বহিষ্কৃত রুমা ছাত্রলীগ সভাপতি ভান নুন নোয়াম বম (৩৩), লাল নুন নোয়াম (৬৮), লাল দাভিদ বম (৪২), চমলিয়ান বম (৫৬), লাল পেক লিয়ান (৩২), লাল মিন বম (৫৬), ভান বিয়াক লিয়ান বম। তারা সবাই রুমার মুনলাই পাড়ার বাসিন্দা।
বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট, অপহরণ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তার ৭ জনকে আদালতে হাজির করা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম এমরান জামিন না মনজুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এনিয়ে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির মামলায় ৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী।
গ্রেপ্তারের আগে কেএনএফ’র সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে রুমা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ভান মুন নোয়াম বমকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পুলু ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মানিকের যৌথ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী, শৃঙ্খলা-পরিপন্থী, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে রুমা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ভান মুন নোয়াম বমকে বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি পুলু মারমা বলেন, কেএনএফ এর সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে, এজন্য তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২ ও ৩ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট, অপহরণ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা করে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় রুমা ও থানচিতে ৮ টি মামলা দায়ের করা হয়।
মেসেঞ্জার/হাওলাদার