ছবি : মেসেঞ্জার
ছয় মাসের মাথায় ভোলার ইলিশা ফেরি ঘাট এলাকায় ভোলা শহর রক্ষা বাধের মেঘনা তীরের প্রায় ৩০ মিটার ব্লক বাধ ধ্বসের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পানি উন্নয়ন র্বোড ভোলার নির্বাহী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান জানান বিষয়টি তাদের নজরে রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, বিগত এক দশকের ও বেশি সময় ধরে মেঘনার প্রবল ভাংগনে সদর উপজেলার ইলিশা ও রাজাপুর ইউনিয়নের প্রায় দশ হাজার একরের ও বেশী পরিমান আবাদী জমি সহ কয়েক হাজার পরিবার তাদের বসত ভিটা ও বাড়ি ঘর হারিয়ে পথে বসে যায়। ছিন্নমূল এসব পরিবারের বিশাল অংশ ভোলা এলাকা ত্যাগ করে লক্ষীপুর, চাঁদপুর, ঢাকা ও গাজিপুর জেলায় বসবাস করছে।
পরবর্তীতে বর্তমান সরকার ২০২১ সালে ৩৩৫ কোটি টাকা ব্যায়ে ইলিশা-লক্ষীপুর ফেরি ঘাট সহ ইলিশা ও রাজাপুর ইউনিয়নের মেঘনা নদীর ভাঙ্গন কবলিত ৩ কিলোমিটার এলাকায় কনক্রিট ব্লক স্থাপনের মাধ্যমে ভাঙ্গন প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এ ছাড়াও দুই কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ নির্মাণ করে।
অথচ এ সময় ইলিশা ও রাজাপুর ইউনিয়নের মেঘনা তীরবর্তী আরো প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকা ব্লক বাধ নির্মাষ না করায় ভাঙ্গনের হুমকির মুখেই রয়ে যায়। যা এখন চরম হুমকির মধ্যে থাকায় এলাকার লক্ষাধিক মানুষ সহ ভোলা সদর ও হুমকির মধ্যে রয়েছে।
কিন্তু গত বছরের অক্টোবর নভেম্বর মাসে হঠাৎ করে উজানের বন্যার পানির চাপে একই এলাকায় প্রায় ২০০ মিটার ব্লক ধ্বসের কারণে শতাধিক দোকানপাট সহ ইলিশা-ঢাকা লঞ্চ ঘাট ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। ভাঙ্গনের কবলে পড়ে একজন মহিলা নদীর পানিতে ডুবে মারা যাবার ঘটনা ঘটে।
এ সময় তাত্ক্ষণিকভাবে ভাবে পানি উন্নয়ন বোড প্রায় ৫০ হাজার বালি ভতি বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
কিন্তু গত সোমবার রাতে হঠাৎ করে আবার একই এলকায় ব্লক ধ্বসের শুরু হলে এলাকার মানুষের মধ্যে ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়।
উল্লেখ্য: ভোলার ইলিশা-ঢাকা এবং ইলিশা-লক্ষীপুর রুটে রাত দিন প্রতি ২৪ ঘন্টায় প্রায় বড় ও আরামদায়ক ৪০ টি লঞ্চ যাতায়াত করে।
এ ব্যাপারে ভোলা পানি উন্নয়ন বোডের নিবাহী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ইলিশা ও রাজাপুর ইউনিয়নের মেঘনা তীর সংরক্ষণের জন্য ৬৮৯ কোটি টাকা ব্যায় নির্ধারন করে একটি প্রকল্প সরকারী অনুমোদন পেয়েছে। যার কাজ আগামী শুকনো মৌসুমে শুরু হবে তিনি আশা করেন।
এ প্রকল্পের আওতায় ইলিশা ও রাজাপুর ইউনিয়ন এর মেঘনা তীরবর্তী ভাঙ্গন কবলিত ৫.৫ কিলোমিটার এলাকায় ব্লক ডাম্পিং করা হবে। ৫ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ নির্মান করা হবে বলে জানান তিনি।
মেসেঞ্জার/কামাল/আপেল