ছবি : মেসেঞ্জার
টানা দাবদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সারাদেশের মতো উত্তরের জনজীবনও। বৃষ্টি না হওয়ায় খরায় নষ্ট হচ্ছে ক্ষেতের ফসল। এমন পরিস্থিতিতে বৃষ্টি চেয়ে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সদর উপজেলার তালমা ঈদগাহ মাঠে সালাতুল ইসতিসকার আদায় করেছেন মুসল্লীরা।
তালমা ঈদগাহ কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সালাতুল ইসতিসকার নামাযে ইমামতি ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ফটিকছড়ি ধর্মপুর এমদাদ উলুম মাদরাসা চট্টগ্রামের শিক্ষা সচিব মুফতি মোহাম্মদ আইয়ুব।
নামাজে অংশ নেয় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ, তালমা ঈদগা মাঠের সভাপতি ও কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো: রফিক, সাধারন সম্পাদক মো: সাইফুল্লাহ স্থানীয় ওলামা একরামসহ এলাকাবাসী।
নামাজ অংশ নেওয়া মুসল্লীরা বলেন, তীব্র খরা ও প্রচন্ড গরমে নাকাল হয়ে উঠেছে মানুষ ও প্রাণিকুল। ঘরে-বাইরে কোথাও এক চিলতে স্বস্তি মিলছে না। টানা তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে নিম্ন আয়ের দিনমজুর ও রিকশাচালকসহ খেটে খাওয়া মানুষেরা বিপাকে পড়েছেন।
এদিকে আশঙ্কাজনকভাবে নেমে গেছে পানির স্তর। এ কারণে অনেকের বাড়ির টিউবওয়েল গুলোতে ঠিকমত পানি মিলছে না। তাই তারা মহান আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি চেয়ে দু’রাকাত সালাতুল ইস্তিকার আদায় করেন।
ইসলাম ধর্মে জানা যায়, অনাবৃষ্টি হলে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার সালাত আদায় করতে হয়। বৃষ্টি বা পানির জন্য আল্লাহ সালাতের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর যুগে যখন প্রচন্ড খরা হতো তখন সবাইকে নিয়ে তিনি খোলা মাঠে গিয়ে মহান আল্লাহর দরবারে গুনাহ মাফের প্রার্থনার পাশাপাশি বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করতেন। এটা একটা সুন্নাহ। সে অনুযায়ী ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়। আল্লাহ তাআলা বৃষ্টি দান করে সবাইকে রক্ষা করুন।
ইমাম মুফতি মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, গত কয়েক দিনের অসহনীয় গরম পড়েছে। এ গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণ। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চেয়ে নামাজ আদায় ও মোনাজাত করা ছাড়া মুমিনদের কোনো উপায় নেই। দোয়ায় অনাবৃষ্টি ও গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করা হয়।
মেসেঞ্জার/আপেল