ছবি : সংগৃহীত
মেহেরপুরে মানব পাচার মামলায় জাহিদুল হক নামের এক জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে মেহেরপুরের জেলা জেলা দায়রা জজ ও মানব পাচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: তহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন। সেই সাথে ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহিদুল হক চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার উজিলপুর গ্রামের মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিলেন এবং মামলায় তিনি কোন আইনজীবীও নিয়োগ করেননি।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, ২০১৪ সালে মেহেরপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জতনের মেয়ে রেবা খাতুন ঢাকার একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করতো। চাকরির সুবাদে আদম ব্যবসায়ী জাহিদুল হকের সাথে তার পরিচয় হয়। ভালো বেতনে চাকরি নামে তাকে জর্ডানে পাঠানোর প্রস্তাব দেয়। এক পর্যায়ে রেবা খাতুনের সাথে আসামি মেহেরপুরে যান এবং তার ভাবীর কাছে থেকে ৫০ হাজার টাকা নেন। পরে রেবা খাতুন জর্ডানের পাঠানোর উদ্দেশ্যে রেবাকে নিয়ে ঢাকায় ফিরে যান। কয়েকদিন ধরে রেবার খোজ না পেয়ে জাহিদুলের সাথে যোগাযোগ করলে সে আরও টাকা দাবি করে নানারকম ভয়ভিতি দেখায়।
এক পর্যায়ে রেবা খাতুনের ভাবী গাজু খাতুন ২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর মেহেরপুর মানব পাচার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানাকে এফআইআরের নির্দেশ দেন আদালত। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দুল মিয়া আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে আদালত
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর এ কে এম আসাদুজ্জামান আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।
মেসেঞ্জার/চান্দু/শাহেদ