ছবি : মেসেঞ্জার
সনাতনী পরম্পরা জাগরনে বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম দিনাজপুরে একত্রে ২০ হাজার কণ্ঠে পবিত্র শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা পাঠ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ নেন দিনাজপুরসহ আশপাশের কয়েকটি জেলা উপজেলার বিভিন্ন বয়সের হাজার হাজার নারী-পুরুষ ভক্ত ও পুণ্যার্থীবৃন্দ।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে রংপুর বিভাগীয় পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা শিক্ষাদান সংঘের আয়োজনে ঐতিহাসিক কান্তজীউ মন্দির চত্বরে এই গীতা পাঠ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ভুমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি।
দিনাজপুর শ্রীশ্রী গীতা সংঘের সভাপতি সুনীল চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালা, ভারতের বিবেকানন্দ মিশন শান্তিনিকেতনের অধ্যক্ষ ড. মানস ভট্টাচার্য, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী ও সাংবাদিক বীরমুক্তিযোদ্ধা ড. মনোরঞ্জন শীল ঘোষাল, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও রাজনীতিবিদ কালিপদ মজুমদার, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, দিনাজপুর রাজ দেবোত্তর এস্টেটের এজেন্ট রনজিৎ সিংহ, ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডিসি রায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভুমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই। এদেশ হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টানসহ সকল ধর্মের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন করেছি। এই দেশে সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার রয়েছে। আমরা বাঙালি, আমরা নাগরিক দিক থেকে আমরা বাংলাদেশি। অতএব আমরা এখানে সংখ্যালঘু নই। তবে আমাদের যে সাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যের ইতিহাস রয়েছে, সেই ইতিহাস আমাদের ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বাংলাদেশ শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ অসাম্প্রদায়িক চেতনার। তবে কিছু ব্যক্তি তাদের ব্যক্তি স্বার্থে অথবা রাজনৈতিক স্বার্থে উস্কানি দিয়ে মানুষকে সামাজিক ভাবে বিভ্রান্ত করে। সুতরাং আমাদের দীর্ঘ দিনের সম্প্রীতি কেউ যদি ক্ষুন্ন করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
এর আগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন প্রধান অতিথি ও উদ্বোধকসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। আলোচনা শেষে শান্তি প্রার্থনা করান দিনাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী বিভাত্মানন্দ মহারাজ।
মেসেঞ্জার/কুরবান/শাহেদ