ছবি : মেসেঞ্জার
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক ও চাকমা রাজার সাথে প্রথাগত হেডম্যানদের রাঙামাটিতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৯ মার্চ) সকালে শহরের একটি রেষ্টুরেন্টে এ মতবিনিময় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় হেডম্যানরা তাদের সন্মানী ভাতা ও রাজস্ব খাজনা বৃদ্ধি, ভূমির উত্তরাধিকার সুত্রে নাম জারি, হেডম্যান ও কারবারী নিয়োগের সহজিকরন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় আপকালীন খাদ্য শস্য সহযোগিতা করা, কৃষি জমির সরকারী আদায়ের খাজনা ১৯ শতাংশ মৌজা হেডম্যানদের ফেরত প্রদান, জেলা ও উপজেলায় আইন শৃংখলা সভায় হেডম্যানদের অর্ন্তভূক্ত করা ইত্যাদি দাবী ও সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
জেলা হেডম্যান এসোসিয়শনের সভাপতি চিংকিউ রোয়াজার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোজাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়, জেলা হেডম্যান এসোসিয়শনের এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক কেরল চাকমা।
চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় বলেন, ব্রিটিশ শাসনামলে হেডম্যানরা ম্যাজিষ্ট্রেট ও রাজারা প্রথম শ্রেনী ম্যাজিষ্ট্রেটের ভূমিকা পালন করেছিলেন। তবে এখনো একটা মৌজায় হেডম্যানরা ম্যাজেষ্ট্রেজির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তাই যোগাযোগের ুর্গমতার কারণে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে না গিয়ে ভূমি লিল ও উত্তরাধিকার সনদগুলো অতিজরুরী প্রয়োজনে হেডম্যানরে দেওয়া সুপারিশগুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা সমাধান করে দিতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, অনেক সময় আদালত ভূমি মামলার রায় দিয়ে ভূমি হস্তান্তর করছেন এতে আইন লঙ্ঘিত হচ্ছে। কারন এ অঞ্চলের ১৯০০ সালের আইনের রীতিনীতি প্রথা অনুযায়ী জমি হস্তান্তর করা হয়ে থাকে। তিনি উচ্চতর আদালত ও জেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, হেডম্যানদের সন্মানী ভাতা বৃদ্ধি বিষয়ে দাবিগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে লেখবেন। এছাড়া খাজনা আায় বৃদ্ধি, উপজেলায় আইন শৃংখলা সভায় হেডম্যানদের অর্ন্তভূক্তসহ ইত্যাদি দাবীগুলো বিবেচনা করা হবে।
তিনি আরো বলেন,এলাকায় অনেক দরিদ্র লোকজন রয়েছেন তাদের ভাগ্যর উন্নয়ন ঘটতে হবে। তাই ষ্মার্ট সিটিজেন হলে স্মার্ট ইকোনোমি ও সম্মার্ট সোসাইসিটি লাগবে।
মেসেঞ্জার/সুপ্রিয়/শাহেদ