ছবি : মেসেঞ্জার
নরসিংদীতে "রোজায় সাশ্রয়ী বাজার" এ ৬৫০ টাকা ধরে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। প্রতিজন ২ কেজি করে গরুর মাংস নিতে পারে এই বাজার থেকে। প্রতি সপ্তাহের শনিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার চলে এই বাজার।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে, জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, জেলা মৎস দপ্তরের সহযোগিতায় বাজারটি রমজানের শুরুতে চালু হয়েছে, চলবে পুরো রমজান জুরে।
বাজারে ৬৫০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। যা অন্যান্য স্বাভাবিক বাজারের চেয়ে ৫০-১০০ টাকা কম।
পোল্টি মুরগী ১৮৫, সোনালি মুরগী ২৮০, ডিম ৩৬, রুই ২৮৫, তেলাপিয়া ১৭৫, পাঙ্গাস ১৫৫, আকার ও মানভেদে টমেটো ২০-৩০, বেগুন ১০-২০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও চাল, ডাল, আটা, তেল, মশলা, লাউ, ডাটা অন্যান্য সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্য বিক্রি হচ্ছে স্বাভাবিক বাজার থেকে অন্তত ৩ শতাংশ কম দামে।
বাজার করতে আসা স্কুল শিক্ষক শাহ আলম জানান, স্বাভাবিক বাজারের চেয়ে এখানে গরুর মাংস ১০০ টাকা কম। এই ১০০ টাকা আমাদের জন্য অনেক কিছু। এই বাজারের প্রভাব আশেপাশে অন্যান্য বাজার গুলোতেও পড়ছে।
আরেক ক্রেতা রুনা বেগম জানান, এখানে অন্যান্য বাজার থেকে বেশ কম দামেই জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে। বাজারটি নিয়মিত হলে আমাদের জন্য সুবিধা হতো। ৫০-১০০ টাকা কমে বাজার করতে পারা আমাদের জন্য কত উপকারী বলে বুঝাতো পারবো না।
গরুর মাংস বিক্রেতা সোহেল আহমেদ অপু জানান, প্রতি বাজারে ৪০০-৫০০ কেজি মাংস বিক্রি হচ্ছে। কর্মচারীর বেতন দিয়ে, অন্যান্য খরচ মিটিয়ে আমাদের প্রায় সমান সমান হচ্ছে, মাঝেমধ্যে লসও হচ্ছে। তবে আমরা মানুষের সেবায় নিজেদের অংশ করতে পেরে খুশি।
বাজারটি তদারকি দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (নেজারত শাখা ও ট্রেজারী শাখা)
শিহাব সারার অভী জানান, সরাসরি ডিলার, খামারী ও চাষীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করার ফলে সাশ্রয়ী দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে।
এর আগে গেলো শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু পৌর পার্কে জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম ১২ টি স্টল নিয়ে এই বাজারের উদ্বোধন করেন।
মেসেঞ্জার/কাউছার/আপেল