ঢাকা,  শনিবার
২৭ এপ্রিল ২০২৪

The Daily Messenger

পরকীয়ার জেরে স্বামী-স্ত্রীর হাতে বৃদ্ধ প্রেমিক খুন

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:৩১, ২৮ মার্চ ২০২৪

পরকীয়ার জেরে স্বামী-স্ত্রীর হাতে বৃদ্ধ প্রেমিক খুন

ছবি : মেসেঞ্জার

দীর্ঘদিন থেকেই ফয়জর মোল্লা ওরফে হুমায়ন কবিরের স্ত্রী মোসা. রুনা বেগমের সঙ্গে অবৈধ সর্ম্পকে লিপ্ত ছিল পয়ষট্টি বছরের আবু জাফর মোল্লা। একাধিকবার বাধা দেয়া সত্বেও স্ত্রীর প্রেমিক জাফরকে ফেরাতে পারেননি হুমায়ন কবির।

এ নিয়ে হুমায়ন কবির রুনার সঙ্গে কলহ চলছিল। তাই জাফরকে মারধোরের সিদ্ধান্ত নেন হুমায়ন কবির। এতে স্ত্রী রুনা বেগম প্রথম দিকে রাজী না হলে তাকে প্রাঁণনাশের ভয় দেখিয়ে বসে আনেন। পরিকল্পনা মতে ১১ মার্চ সন্ধ্যায় জাফরকে ফোনকলে বাড়ী পেছনে দেখা করতে বলেন রুনা।

প্রেমিকার ফোনকলে নির্ধারিত সময়ে হাঝির হন জাফর। এসময় জাফর-রুনার মাঝে নানান কথার এক পর্যায় রুনা কৌশলে প্রেমিকাকে মাঠের মাঝে নিয়ে যান। এসময় হুমায়ন কবির উপস্থিত হয়ে জাফরকে মাটিতে শুয়ে হাতে থাকা দা দিয়ে এলোপাতরি আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। আদালতে এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন হুমায়ন কবির রুনা বেগম। 

ঘটনার বরাত দিয়ে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জসীম বলেন-স্থানীয় গ্রাম পুলিশের দেয়া সংবাদে ১২ মার্চ সদর উপজেলার জৈনকাঠি ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রাম থেকে আবু জাফর (৬৫) এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

জাফর হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে এমন ধারনা করে পোষ্ট মর্টেম করাতে অনিচ্ছুক ছিল পরিবারের। কিন্তু মৃত্যুর বিষয়টি সন্দেহজনক হলে পুলিশের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করলে অ্যাডিশনাল এসপি সাজেদুল ইসলাম সজল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহ পোষ্ট মর্টেমের সিদ্ধান্ত দেন।

পোষ্টমর্টেম শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে এবং নিহতর ছেলে কবির মোল্লা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা করে মামলা করেন। এরপর বিষয়টি উদঘাটন করতে অ্যাডিশনাল এসপি সাজেদুল ইসলাম সজল নির্দেশনায় এলাকায় নিবির ভাবে খোঁজ-খবর নিলে জাফর-রুনার অবৈধ সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসে।

পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় খুনের ঘটনায় ফয়জর-রুনার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে ২৭ মার্চ দিবাগত রাতে অভিযুক্তদের বসত বাড়ী থেকে স্বামী-স্ত্রীকে আটক করেন এসআই দিপায়ন বড়াল।

আটকের পর বুধবার পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সমীর মল্লিকের আদালতে হাজির হয়ে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার স্বীকার দেন স্বামী-স্ত্রী।

আদালতে স্বামী-স্ত্রী স্বীকারোক্তিতে বলেন, জাফরকে খুন করার উদ্দেশ্য ছিলনা তাদের। কিন্তু ঘটনাক্রমে খুন করতে বাধ্য হয়েছেন তারা। এসআই দিপায়ন বড়াল জানান-নিহত জাফর মোল্লা চার মেয়ে এক ছেলের বাবা এবং রুনা বেগম এক ছেলে দুই মেয়ের জননী ছিলেন।

মেসেঞ্জার/মানিক/আপেল

dwl
×
Nagad