ঢাকা,  রোববার
০৫ মে ২০২৪

The Daily Messenger

ভিজিএফ কার্ড প্রতি দেড় কেজি চাল কম দেয়ার অভিযোগ

নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:০২, ৩ এপ্রিল ২০২৪

আপডেট: ২১:০৯, ৩ এপ্রিল ২০২৪

ভিজিএফ কার্ড প্রতি দেড় কেজি চাল কম দেয়ার অভিযোগ

ছবি : মেসেঞ্জার

নীলফামারী ডিমলা উপজেলায় দুই ইউনিয়ন পরিষদে দুস্থ গোষ্ঠীর সহায়তা কর্মসূচির( ভিজিএফ) স্লিপ প্রতি ১-২ কেজি চাল কম দেওয়ার অভিযোগ মিলেছে। ইউনিয়ন দুটি হলো খালিশা চাপানী ইউনিয়ন ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়ন পরিষদ। প্রতিবাদ করলে মেলেনি কোনো চাল।

বুধবার(৩ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, খালিশা চাপানী ইউনিয়ন পরিষদের হলরুম থেকে চাল বিতরণ করছে ইউপি সদস্যরা। এমন সময়ে একব্যক্তি এসে অভিযোগ দেওয়ারকালে একব্যক্তি ক্যামেরাম্যান ও ওই ব্যক্তির ওপরে ক্ষিপ্ত হন। পরে জানা গেছে তিনি খালিশা চাপানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিজস্ব বাহিনীর প্রধান সদস্য আব্দুর রশিদ।

তাদের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সকল অপরাধ সংঘঠিত করেন। হলরুম থেকে বাহির হওয়ার পরেই দুইজন কার্ডধারীর চাল মিটারে ওজন দিলে ২০ কেজি চালের বিপরীতে ১৮ কেজি ১২০ গ্রাম চাল পাওয়া যায়। ৪জনের আরেকটি বস্তা পরিমাপ করলে ৩৭ কেজি ৩৫০গ্রাম চাল পাওয়া যায়।

এই দৃশ্য দেখে চেয়ারম্যানের আরেক সহযোগী মিজানুর রহমান এসে মিটার ওয়ালাকে গালিগালাজ করতে থাকে। তিনি বলেন, কেজি প্রতি এক কেজি দিয়েছি তাতে সমস্যা কি এটা তো থাকবেই। উপজেলা প্রশাসন জানেন, ট্যাগ অফিসার জানেন, আসেন বসে আলোচনা করি কথা আছে, কথা না বলেই সমস্যা করছেন।

৬ নম্বর ওয়ার্ডে বাসিন্দা ওমর আলী জানান, আমি ২টা স্লিপের চাল তুলেছি। দুই স্লিপে ২০ কেজি হওয়ার কথা কিন্তু ১৮ কেজি চাল পেয়েছি। সে বিষয়ে বলতে গেলে চেয়ারম্যানের সহযোগী নজরুল ইসলাম আমাকে ধমক দেয় আমি কিছু বলতে পারিনি।

বেলাল নামের আরেকজন জানান, এখন তো ১ কেজি কম দিচ্ছে সকালের দিকে কার্ড প্রতি ১.৫কেজি থেকে ২ কেজি করে কম দিয়ে ছিল। পরে ইউএনও আসার পরে থেকে ১ কেজি করে দিতেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, সকাল বেলা ইউপি সদস্যদের স্লিপ বিক্রির হিড়িক চলছিল। পরে সবাইকে চাল কম করে দিতেছে। ওখানে একজন সরকারী কর্মকর্তা আছে ওনি তো ওনার মতো আছেন, দেখে না দেখার ভান করছেন। চাল কম দেওয়া কারণ জানতে চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাত করতে চাইলে তাকে খুজে পাওয়া যায়নি। পরে মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলে ফোন বন্ধ দেখায়।

অন্যদিকে ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, স্থানীয় চাল ব্যবসায়ীদের দীর্ঘ সারি। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও উপহারভোগীদের কাছে থেকে স্লিপ ক্রয়ের মাধ্যমে লাইনে দাড়িয়েছেন। তারপরেও প্রতি স্লিপের বিপরীতে ৭.৫-৯ কেজি চাল বিতরণ করা হচ্ছে।

এ বিষেয় ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একরামুল হক চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ২ হাজার টাকা বাহির করে বলেন টাকা টা নেন তেল খরচের জন্য, সবাই আসতেছে আর নিয়ে যাচ্ছে আপনিও নেন। আর আমি তো চাল ভাগ করে দিয়েছি। যে চাল কম দিয়েছে ওনি ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।

এ  বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ছালমাকে অবগত করলে তিনি বলেন, চাল কম দেওয়ার বিষয়ে ফোন দিয়ে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তবে, আমি কয়েক স্থানে পরিদর্শনে গিয়েছি। কোথাও কোনো অভেযোগ বা অনিয়ম পাওয়া যায়নি।

মেসেঞ্জার/রিপন/তারেক

dwl
×
Nagad

Notice: Undefined variable: sAddThis in /mnt/volume_sgp1_07/tp4l1yw3zz9u/public_html/bangla/details.php on line 700