ছবি : মেসেঞ্জার
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) ফার্ম মেশিনারী এন্ড পোস্টহারভেস্ট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের আয়োজনে মুগডাল ভাঙ্গানো মেশিনের মাঠ প্রদর্শন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানটির সহযোগিতায় ছিলেন সিরিয়াল সিস্টেম ইনিশিয়েটিভ ফর সাউথ এশিয়া-মেকানাইজেশন অ্যান্ড এক্সটেনশন অ্যাক্টিভিটি বাংলাদেশ।
উদ্ভাবিত এই যন্ত্রটির বিভিন্ন সুবিধাবলি কৃষক, যন্ত্র প্রস্তুত কারক, বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণ কর্মী ও সাধারণ জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্য আয়োজিত এ মাঠ প্রদর্শন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার।
পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. ফেরদৌসী ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. মো. আবু হেনা ছরোয়ার জাহান এবং সাবেক পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মো. আইয়ুব হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বারি’র বিভিন্ন বিভাগ/কেন্দ্রের সিনিয়র বিজ্ঞানীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে এ যন্ত্রটি ছড়িয়ে দিতে বারি উদ্ভাবিত এই যন্ত্রটির ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা প্রয়োজন। মানসম্পন্ন প্রস্তুতকরণ নিশ্চিত করতে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানদের প্রশিক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ বছরে প্রায় ৩৫ হাজার মেট্রিক টন মুগ ডাল উৎপাদন হয়ে থাকে। এর বেশিরভাগ অংশ পটুয়াখালী এবং বরিশাল অঞ্চলের কৃষকরা উৎপাদন করে থাকে। বারি মুগ-৬ ওই অঞ্চলে কৃষকদের নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছে যা এক ফসলী জমিকে দুই ফসলী জমিতে রূপান্তর করেছে। মুগ ডাল আমিষের একটি অন্যতম উৎস। যা গরীব কৃষকদের আমিষের চাহিদা পূরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হতে পারে।
দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত মুগডাল কৃষকরা যাতে সহজে প্রক্রিয়াজাত করে ভক্ষণ করতে পারে এজন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর ফার্ম মেশিনারী এন্ড পোস্টহারভেষ্ট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে কৃষকের ব্যবহার উপযোগী বারি মুগ ডাল ভাঙ্গানো যন্ত্র উদ্ভাবন করা হয়েছে। এই যন্ত্রের সাহায্যে অতি সহজে ঘন্টায় ৪০ থেকে ৭০ কেজি মুগডাল ভাঙানো যায়।
মেসেঞ্জার/হাসান/আপেল