ছবি : ডেইলি মেসেঞ্জার
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে একটি বাল্য বিবাহের প্রস্তুতির খবর পেয়ে বন্ধ করে দিলেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পিযুষ কুমার চৌধুরী।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের 'হল ২১' নামের কমিউনিটি সেন্টারে এই বাল্যবিবাহের আয়োজন বন্ধ করা হয়।
এসিল্যাণ্ড জানান, সকালে ইউএনও মহোদয় এর কাছ থেকে চরপাথরঘাটায় একটি বাল্য বিবাহের খবর জানতে পেরে স্যারের নির্দেশে এলাকার ইউপি সদস্যকে মুঠোফোনে নিষেধ করে বিবাহ বন্ধ করার নির্দেশ দিই। জানা যায়, পরক্ষণেই বিয়ের পাত্র পাত্রী কমিউনিটি সেন্টার থেকে পালিয়ে যান।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৌলানা ইউসুফ বাড়ীর জনৈক কামাল উদ্দিন এর ১৬ বছর ১১ মাস ৫ দিন বয়সি মেয়ের সাথে একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জনৈক মনিরের ছেলে রোকনের সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে। সঙ্গত কারণে দুই পারিবারের লোকজনের ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়েছে।
বর কণে পক্ষের লোকজন বিয়ের আয়োজন করেন চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের খোয়াজনগর গ্রামের হল ২১ কমিউনিটি সেন্টারে।
পরে খবর পেয়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মেয়ের বয়স কম হওয়ায় বিবাহ বন্ধ করে দেন। দুই পরিবারের লোকজন স্থানীয় চেয়ারম্যান কে মুছলেকা দেবার অঙ্গীকারে ছেলে ও মেয়েকে বিয়ের আসর থেকে সরিয়ে নেন।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সরকারী কমিশনার (ভূমি) পিযুষ কুমার বলেন, এক কিশোরীর বাল্যবিবাহের আয়োজনের খবর পেয়ে কমিউনিটি সেন্টারে ফোন করে বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। অন্যতায় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ এ দুই পরিবারকে আইনের আওতায় আনা হবে।
জানা যায়, পরে বিয়ে বন্ধ থাকলেও দুপুর ২টা ৩০ মিনিটের দিকে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুমা জান্নাত কমিউনিটি সেন্টারে হাজির হয়ে কিছু লোকজনকে বের করে দেন।
মেসেঞ্জার/সজিব