যৌথ অভিযানে অবৈধ জাটকা উদ্ধারের পর ছবিটি শনিবার দুপুরে মুক্তারপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি থেকে তোলা। ছবি : মেসেঞ্জার
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম মৎস্য আড়তে অভিযান চালিয়ে ১৫ মণ অবৈধ জাটকা ও সাড়ে তিন মন পাঙ্গাসের পোনা উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। এ সময় জাটকা বিক্রির অভিযোগে দুই জনকে আটক করা হয়।
সিনিয়ন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামসুর রহমান ও মুক্তারপুর নৌ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সাজ্জাদ করিমের নেতৃত্বে শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত প্রায় ৩ ঘন্টা মৎস্য আরতের বিভিন্ন মাছের দোকানে যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতি দেখে পালিয়ে যায় জাটকা ব্যবসায়ীরা। পরে জাটকা সহ দুজনকে আটক করে নৌ-পুলিশ।
আটকৃতরা হলো নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চরভাটা গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে মোহাম্মদ মাসুম ও আব্দুল মনামের ছেলে মোহাম্মদ আলী।
পরে জব্দকৃত জাটকাগুলো মুক্তারপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি থেকে বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানা বিতরণ করা হয়েছে জানিয়েছেন অভিযান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
মুক্তারপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মাজাহারুল ইসলাম অভিযান জানান, মিরকাদিম মৎস্য আড়তে অন্যান্য মাছের আড়ালে লুকিয়ে জাটকা বিক্রি হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
এ সময় দুইজন মাছ ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। জাটকা সংরক্ষণে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
প্রতি বছরের পহেলা নভেম্বর থেকে ত্রিশ জুন পর্যন্ত মোট ৮মাস ১০ ইঞ্চির চেয়ে ছোট ইলিশ ক্রয় বিক্রয় মজুদ এবং ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আজকের অভিযানেপরে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ (৫ এর ১)আইনে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মেসেঞ্জার/শুভ/তারেক