ছবি : মেসেঞ্জার
রেকর্ডভাঙা একটানা তীব্র দাবদাহ শেষে স্বস্তির বৃষ্টিতে সিক্ত হয়েছে যশোর। সোমবার (৬ মে) বিকেলে আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। পাশাপাশি শুরু হয় ঝড়ো বাতাস ও মেঘের গর্জন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। সন্ধ্যার পর ছোট ছোট ফোটা পড়লেও রাত আটটার দিকে বেশ জোরে সোরে বৃষ্টি নামে। এতে গরম আবহাওয়া শীতল হয়। স্বস্তি ফেরে জনজীবনে। এদিন ২৪ মিলিমিটার মাত্রার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
কেউ কেউ বলছে, ক্ষণিকের এই বৃষ্টি কতটা স্বস্তি দিতে পারে তা বোঝা যাবে মঙ্গলবার থেকে। রাতে স্বস্তিতে ঘুমাতে পারলেও এদিন যদি বৃষ্টিপাত না হয়, সূর্যের তাপ বাড়ে তাহলে মাটির গরম উত্তাপ অস্বস্তিতে ফেলতে পারে।
তবে আবহাওয়া অফিসের ৭২ ঘন্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কোথাও কোথাও ঝড়ো হাওয়া বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি হ্রাস পেতে পারে। অবশ্য সোমবার যশোরে তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
শহরের দড়াটানায় পথচারী জহিরুল ইসলাম বলেন, টানা দাবদাহে জীবন অস¦স্তিতে ভরে গিয়েছিল। অবশেষে বৃষ্টি হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে। বেজপাড়ার ডেকোরেটর ব্যবসায়ী শাহজালাল বলেন, প্রচন্ড দাবদাহের কারণে কাজ করতে পারিনি। দীর্ঘ দিন পর অল্প বৃষ্টি হলেও সেটি ছিল স্বস্তির।
বকচর এলাকার মজিদা বেগম বলেন, এবারের মতো এমন গরম আগে কখনো পড়েনি। প্রচন্ড গরমে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা তৈরি হয়েছিল। বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিল সারাদেশের মানুষ। অবশেষে আল্লাহ মানুষকে স্বস্তি এনে দিয়েছে। বৃষ্টি কম হলেও ঠান্ডা বাতাসে শরীরটা জুড়িয়ে গেছে।
একই এলাকার বাসিন্দা আইনজীবী হোসনে আরা বলেন, অনেক দিন পর বৃষ্টির দেখা পেয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাস্তায় বের হই।
১৫ বছর পর চলতি মৌসুমে রেকর্ড ভাঙা সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়েছে যশোর। ৩০ এপ্রিল জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এর আগে ২০০৯ সালে যশোরে সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছিল।
খুলনা বিভাগীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত দুই সপ্তাহ ধরে যশোরে তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এরমধ্যে গত কয়েকদিন অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করেছে।
সূত্রমতে, এর আগে ২৯ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়। এদিন যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তার আগে রোববার দুপুরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল যশোরে। গত বৃহস্পতিবারও যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
মেসেঞ্জার/বিল্লাল/দিশা