ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
০২ মে ২০২৪

The Daily Messenger

চশমার সঠিক ব্যবহারে আয় বাড়বে ৩৩ শতাংশ

মেসেঞ্জার অনলাইন

প্রকাশিত: ১৮:৫৫, ৬ এপ্রিল ২০২৪

আপডেট: ১৯:০৩, ৬ এপ্রিল ২০২৪

চশমার সঠিক ব্যবহারে আয় বাড়বে ৩৩ শতাংশ

ছবি : সংগৃহীত

বয়স বাড়ার কারণে অনেকের দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। আবার অনেকের ছোট বয়স থেকেই চোখে সমস্যা থাকে। এ কারণে চশমা ব্যবহার করে থাকেন তারা। সম্প্রতি নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে, চোখে চশমা ব্যবহার করা ব্যক্তিরা চশমা ব্যবহার না করা ব্যক্তিদের থেকে তিন শতাংশ পর্যন্ত বেশি আয় করতে পারেন।

বাংলাদেশে করা এই গবেষণার মধ্য দিয়ে চশমা ব্যবহারের প্রভাব বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে। কুইন্স ইউনিভার্সিটি বেলফাস্ট, সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ ভিশনস্প্রিং ও বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক ৩৫ বছরের বেশি বয়সী ৮২৪ জন ব্যক্তির ওপর এ গবেষণা পরিচালনা করে।

গবেষণায় দেখা যায়, আট মাসের মধ্যে একদল লোকের মাসিক গড় আয় ৩৫.৩০ মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৭.১০ ডলার। হিসেব অনুযায়ী আয় বাড়ার হার ৩৩.৪ শতাংশ।

ধারণা করা হয়ে থাকে, প্রেসবায়োপিয়া অর্থাৎ কাছের জিনিস দেখতে না পাওয়ার কারণে উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে বছরে ২৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে একই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা যারা এ সমস্যা দূর করার জন্য চশমা ব্যবহার করছেন, তাদের চশমা ব্যবহারের কারণে এ ক্ষতির পরিমাণ ১০ শতাংশ কম হতে পারে।

গবেষণাটির লেখক অধ্যাপক নাথান কংডন বলেছেন, 'গবেষণা থেকে এটা স্পষ্ট যে দারিদ্র্য হ্রাসের জন্য চশমার ব্যবহার সহায়ক হতে পারে। মাত্র কয়েক ডলার খরচ করে যারা চশমা কিনে ব্যবহার করছেন, তাদের ওপর এর উল্লেখযোগ্য ও টেকসই প্রভাব রয়েছে। এ কারণে তারা আবারও ভালোভাবে কাজ করতে পারেন।

গবেষণাটির সহ-লেখক ও ভিশনস্প্রিংয়ের প্রধান নির্বাহী এলা গুডউইন বলেছেন, এ গবেষণা থেকে যেটি স্পষ্ট হয়েছে, সেটি হলো এ সহজ সমাধানটি অনন্য শক্তিশালী।

উগান্ডার দক্ষিণাঞ্চলের মাতুগ্গার বাসিন্দা সারা নাকালিওয়া (৫৭) ঝুড়ি তৈরি করে থাকেন। তিনি জানান, তরুণ বয়সে তিনি দিনে দুইটি ঝুড়ি তৈরি করে আরেকটিরও অর্ধেক কাজ সম্পন্ন করতে পারতেন। এ থেকে তার মাসে ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ উগান্ডান শিলিং (৮২-১০৩ পাউন্ড) আয় হতো। কিন্তু ৪০ বছর বয়স থেকে তার দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে শুরু করে। ফলে তার ঝুড়ি তৈরির কাজও কমে যায়।

তিনি বলেন, 'আমি ঝুড়ি তৈরিতে সুই ব্যবহার করতাম। কিন্তু কাজের সময় সম্পূর্ণ মনযোগ দিতে পারতাম না। আমার দৃষ্টিশক্তি খারাপ হয়ে যাওয়ায় আগে একদিনে যে কাজ করতাম, সেটা করতে চারদিন লাগত। আমার প্রতি মাসে কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল এক লাখ থেকে দেড় লাখ উগান্ডান শিলিংয়ে।'

তিনি আরও বলেন, 'চশমা আমার কাজ সহজ করেছে। আগে আমি সুইয়ে সুতা লাগাতে পারতাম না। এখন পারি। আগে পড়তেও অসুবিধা হতো। এখন খুব স্পষ্টভাবে পড়তে পারি।'

বর্তমানে আগের মতোই আয় করছেন সারা। তিনি ঝুড়ির পাশাপাশি মাশরুম চাষেরও একটি ব্যবসা করছেন, যা চশমা না থাকলে এভাবে সম্ভব হতো না বলে জানান তিনি।

মেসেঞ্জার/মুমু

dwl
×
Nagad

Notice: Undefined variable: sAddThis in /mnt/volume_sgp1_07/tp4l1yw3zz9u/public_html/bangla/details.php on line 700