ঢাকা,  বুধবার
০১ মে ২০২৪

The Daily Messenger

চার ধাপে ৪৮০ উপজেলা পরিষদে ভোট

একলা মাঠে আওয়ামী লীগে কোন্দল, বিরোধী শিবিরে পুরনোয় অনাস্থা 

আবদুর রহিম

প্রকাশিত: ১৭:৩৩, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

আপডেট: ১৭:৪৭, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

একলা মাঠে আওয়ামী লীগে কোন্দল, বিরোধী শিবিরে পুরনোয় অনাস্থা 

নির্বাচন ভবন। ফাইল ছবি

জাতীয় নির্বাচনের মতো এবার উপজেলা নির্বাচনেও একলা মাঠে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রার্থীরা। অংশ নিচ্ছে না বিএনপি-জামায়াত এবং ইসলামী আন্দোলনসহ অন্তত অর্ধশত রাজনৈতিক দল। ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কেউ না থাকায় দলটির তৃণমূলে কোন্দলের আশঙ্কার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে নাটোরে সম্ভাব্য এক প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। দেশের আরও বিভিন্ন যায়গায় প্রার্থীকে হুমকি, অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। দলটির নেতাকর্মীরা বলছেন- এমপি মন্ত্রী এবং হাইকমান্ডের কেন্দ্রীয় নেতারা তৃণমূলে পছন্দের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে তলে তলে সবাই লড়ে যাচ্ছেন। এতে করে আওয়ামী লীগের ঘরোয়া বিবাদ প্রকাশ্যে আসছে। কেন্দ্র থেকে নিয়ন্ত্রণের উদ্যেগ না নিলে কিছু কিছু যায়গায় সহিংসতায় রূপ নেয়ার আশঙ্কাও করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিএনপিসহ সরকার বিরোধীরা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রশ্ন তুলে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের উপর অনাস্থাজ্ঞাপন করে ভোট বর্জন করেছেন। তাঁরা বলছেন- কমিশন ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সবাই সরকারের অনুগত। 

ইসি থেকে জানা যায়, এবার চার ধাপে ৪৮০টি উপজেলা পরিষদে ভোট হচ্ছে।  আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ভোট। দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে ১৬৬টি উপজেলায়। গতকাল ১৭ এপ্রিল ১১২টি উপজেলায় তৃতীয় ধাপের তফসিল ঘোষণা করা হলো। চতুর্থ ধাপের তফসিল এখনো ঘোষণা হয়নি।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী ডেইলি মেসেঞ্জারকে বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এই কমিশন আওয়ামী লীগের অনুগত। বর্তমানে পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবাই সরকারের অনুগত। ক্ষমতাসীন সরকার কখনোই জনগণের ভোটে বিশ্বাসী নয়, নির্বাচিতও নয়। জাতীয় নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ৫ শতাংশ ভোটার জাতীয় নির্বাচনে কেন্দ্রে যায়নি। যে সরকারের জনগণের আস্থায় নেই সেখানে আমাদের অংশগ্রহণ চিন্তাও করা যায় না। আপনারা দেখেন বিএনপিসহ অনেকেই ভোট বর্জন করেছে এর মধ্যেই ক্ষমতাসীন দল নিজেরা কোন্দলে জড়িয়ে পড়েছে। তাদের নিজদের যেখানে নিরাপত্তা নাই সেখানে আমাদের কে নিরাপত্তা দেবে। 

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম ডেইলি মেসেঞ্জারকে বলেন, জামায়াত গণমানুষের ইচ্ছেকে গুরুত্ব দেয়। এই সরকারের উপর জনগণের ইচ্ছে কী তা জাতীয় নির্বাচনে স্পষ্ট হয়ে গেছে। অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষ ভোটকেন্দ্রে যায়নি। আমরা আগেও বলেছি এই সরকারের অধিনে কখনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। আমরা আমাদের পূর্বের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছি। জাতীয় নির্বাচনে যাইনি উপজেলা নির্বাচনেও যাবো না। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ডেইলি মেসেঞ্জারকে বলেন, এ দেশের নির্বাচনে আর বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। সব চর দখলের মতো হয়ে গেছে। দেশের জনগণের মধ্যে ভোট নিয়ে গণহতাশা গণঅনাস্থা কাজ করছে। এখন নির্বাচনে যেহেতু কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই তাই আওয়ামী লীগ এখন নিজেদের মধ্যে অঞ্চল দখলের প্রতিজোগিতায় আছে। নিজেরা নিজেদের ঘরে দখল নিয়ে মারামারি করছে। 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ডেইলি মেসেঞ্জারকে বলেন, যাদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাদেরকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে নির্দেশনা দেয়া আছে। হাইকমান্ডের কেউ কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে কোনো দুঃখজনক আচরণ করবে না বলেই মনে করছি। বিএনপি কিংবা কেউ অংশগ্রহণ না করলেও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে না। 

উপজেলা নির্বাচনের কোন্দল প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল গণমাধ্যমের মুখোমুখী হয়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের কেউ যেন হস্তক্ষেপ না করেন। নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। সব বিষয়ে নেত্রী অবগত র‍য়েছেন। প্রার্থী অপহরণের যে অভিযোগ এসেছে সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার সচেষ্ট ভূমিকা পালন করছেন।

মেসেঞ্জার/সজিব

dwl
×
Nagad

Notice: Undefined variable: sAddThis in /mnt/volume_sgp1_07/tp4l1yw3zz9u/public_html/bangla/details.php on line 700