ছবি : মেসেঞ্জার
কুমিল্লায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার রাতে নগরীর ঝাউতলা এলাকায় সহকারী প্রক্টর ও এক সহপাঠীকে দায়ী করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেন জবির আইন বিভাগের ওই শিক্ষার্থী। সে কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক শিক্ষক প্রয়াত অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের মেয়ে।
শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে জানাযা শেষে তাকে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়। এদিকে অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিকেলে কুমিল্লায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্ররা।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম এবং আম্মান সিদ্দিকী নামের এক সহপাঠিকে দায়ী করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস নেন ফাইরুজ অবন্তিকা।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে নগরীর বাগিচাগাঁও ‘পিসি পার্ক স্মরণিকা’ নামের ১০তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার বাসায় সে আত্মহত্যা করেন। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে অবন্তিকার মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় চলছে জবি ক্যাম্পাসেও। এরই মাঝে ওই শিক্ষার্থীকে উত্যাক্ত করার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বলেন, আমার মেয়েটা অত্যন্ত মেধাবী ছিল। ঢাকার কলতা বাজারে থাকতো। প্রক্টরের ইন্ধনে কয়েকজন ছেলে এবং মেয়ে ওখানে গিয়ে তাকে মানসিক নির্যাতন করেছে। আমার মেয়ে এসে বলতেছে মা ওরা তো আমাকে এইভাবে মেন্টাল টর্চার করতেছে। তাদেরকে ইউনিভার্সিটি থেকে ইন্ধন দিয়ে রাখছে আমাকে টর্চার করার জন্য।
তিনি বলেন, রাফি, আম্মান, মাহিয়া, লাকি, রিমি, আঁখি, বন্যা, দ্বীন ইসলাম এ ঘটনার জন্য মূল দায়ী। ‘তারা পুলিশ দিয়ে আমাকে হুমকি দিয়েছে। শুনেছি পুলিশ তাদের এলাকার ভাই। পরে আমি ডিআইজিকে বিষয়টি অবহিত করেছিলাম।
অর্থাৎ পরিকল্পিত ভাবে প্ররোচনা দিয়ে আমার মেধাবী মেয়েটাকে মৃত্যু মুখে পতিত করেছেন। অল্প কিছুদিন আগে আমি আমার স্বামীকে হারিয়েছি। এখন মেয়েকে হারিয়ে আমি সর্বশান্ত।
মেসেঞ্জার/আবুল/আপেল