ঢাকা,  শনিবার
২৭ এপ্রিল ২০২৪

The Daily Messenger

যশোরে সবজির রাজ্যে বিষের গন্ধ

যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:৪৩, ২৮ মার্চ ২০২৪

যশোরে সবজির রাজ্যে বিষের গন্ধ

ছবি : মেসেঞ্জার

সবজির রাজ্য যশোরে উৎপাদিত সবজিতে বিষ। পোকা-মাকড় দমনে বেগুন, শিম, ফুলকপি শাকে অবাধে মাত্রাতিরিক্ত বিষ ছিটানো হচ্ছে। আগের দিন বিষ স্প্রে করা সবজি পরের দিন ভোরে চাষিরা বাজারজাত করছে বলে স্থানীয় অনেকেই জানিয়েছেন। সবজির নামে বিষ খাচ্ছে মানুষ।

যশোর আঞ্চলিক কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, এবার যশোর জেলায় ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির চাষ হয়েছে। এখানে উৎপাদিত সবজির সুনাম দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও রয়েছে। কিন্তু আগের মতো সবজিতে সেই স্বাদ আর নেই। সবজির সাথে বিষ খাচ্ছে মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সবজিতে ছিটানো বিষের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে রিনকর্ড, সিমবুন, সুমিসাইডিন, হেপ্টাক্লোর, থায়াডিন, ডিডিটি। এগুলো খুবই বিপদজনক।

এছাড়াও নগস, সুমিথিয়ন, ডাইমেক্রন, ম্যালালাথিয়ন, অ্যারোমাল ইত্যাদি। এসব কীটনাশক প্রয়োগের পর অপেক্ষামানকাল কোনোটির দিন, কোনোটির দিন, কোনোটির ২১ দিন এমনকি মাস পর্যন্ত হতে পারে।

স্থানীয়দের জানিয়েছেন, চাষিরা সকল বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে বিষ প্রয়াগের কয়েক ঘন্টা পরেই সবজি বাজারজাত করছেন। তরতাজা সবজি বেশি দামে বিক্রির আশায় চাষিরা মানুষকে বিষ খাওয়াচ্ছেন। অনেকেই খালি শরীরে মুখে কাপড় না বেধে বিষ ছিটানোর কাজ করছে।

সবজি চাষি মিন্টু মিয়া, শহিদুল ইসলাম, আশাদুল ইসলামসহ অনেকই জানান, বিষ না দিলে সবজির চেহারা ঠিক থাকেনা। ফেরোমন ফাঁদ দেয়ার পরও পোকামাকড়ের অত্যাচার আছেই। ক্ষতিকর পোকা মাকড় মরেনা। তাই বিষ ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছি।

বিভিন্ন ইউনিয়নে দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা জানান, সবজিতে মাত্রাতিরিক্ত বিষ দেয়ার বিষয়ে চাষিদের বার বার নিষেধ করা হচ্ছে। অনেকেই বিকল্প পদ্ধতিতে সবজি ক্ষেতে পোকা মাকড় দমন করছে। তবে বেগুন শিমে কিছু কিছু চাষি অতিরিক্ত বিষ ব্যবহার করে থাকে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপ পরিচালক সুশান্ত কুমার তরফদার জানান, সবজির পোকা-মাকড় দমনে কীটনাশকের বিকল্প ব্যবস্থাপনার উপর বেশি জোর দেয়া হচ্ছে। চাষিদের বলা হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার নিয়ম মেনে বাজারজাত করার জন্য। তাহলে মান দেহে এর কোন প্রভাব পড়বে না।

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ জানান, অতিরিক্ত বিষ ছিটানো সবজি নিয়ম না মেনে বাজারজাত করা মোটেও ঠিক না। কীটনাশক ব্যবহার মানবদেহের জন্য শুধু ক্ষতিকরই নয়, মৃত্যুঝুঁকিও থাকে।

মেসেঞ্জার/বিল্লাল/আপেল

dwl
×
Nagad