ঢাকা,  শুক্রবার
০৩ মে ২০২৪

The Daily Messenger

থানায় অভিযোগ করায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:১১, ৩১ মার্চ ২০২৪

থানায় অভিযোগ করায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা

ছবি : মেসেঞ্জার

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় তামীম নামে এক যুবককে মাথায় আঘাত করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরের দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত তামিম ভেড়ামারা উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষেমিড়দিয়া গ্রামের মুন্সিপাড়ার রং মিস্ত্রি শাহীন আলীর ছেলে।

পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতা ও তামাকের কাজে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক দেয়াকে কেন্দ্র করে তামিমের সাথে প্রতিপক্ষের আমজাদ, শাহীন ও মোমিনের সাথে বাকবিতণ্ডা ও মারামারি হয়। এঘটনায় ২৩ মার্চ ভেড়ামারা থানায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তামিম। 

থানায় অভিযোগ দেয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ২৬ মার্চ রাতে তামিমের উপর হামলা চালায় আমজাদ, শাহীন, মোমিন ও তাদের লোকজন। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পারে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার দুপুরে  চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

নিহতের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা বলেন, তামাকের কাজে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক নিয়ে আমজাদ, শাহীন ও মোমিন তামিমের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়ান এবং তামিককে মারধর করে। এঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তামিমের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে। হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম বলেন, তামাকের কাজের পারিশ্রমিক নিয়ে তামিমের সাথে প্রতিপক্ষের বাকবিতন্ডা ও মারামারি হয়। পরে আমজাদ, শাহীন ও তাদের লোকজন তামিমের উপর সন্ত্রাসী হামলা করে। এতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তামিম মারা গেছে।

মোকারিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বলেন, তামাকের কাজের পারিশ্রমিক নিয়ে মারামারি হয়। পরে প্রতিপক্ষের লোকজনদের কুড়ালের আঘাতে তামিমের মাথার খুলি ভেঙে যায়। রাজশাহীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। 

এবিষয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছে। এখনো কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

মেসেঞ্জার/রাজু/তারেক

dwl
×
Nagad

Notice: Undefined variable: sAddThis in /mnt/volume_sgp1_07/tp4l1yw3zz9u/public_html/bangla/details.php on line 700