ছবি : মেসেঞ্জার
রাজশাহীতে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে এবং শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ঈদ উল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাজশাহী মহানগরীতে ঈদ উল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল ৮টায় হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। রাজশাহীর বৃহত্তম এই ঈদ জামাতে ইমামতি করেন মহানগরীর দারুল উশাহা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি ওমর ফারুক।
এখানে পবিত্র ঈদ উল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনিসুর রহমান ও রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ এবং সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু ও মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। ঈদের নামাজ শেষে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন ও রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির মুসল্লীদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও কোলাকুলি করেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট), সকাল সাড়ে ৭টায় দ্বিতীয় প্রধান ঈদের জামায়াত টিকাপাড়ায় মহানগর ঈদগাহ ময়দানে, সকাল সাড়ে ৮টায় মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টের বড় মসজিদ সংলগ্ন রাস্তায় তৃতীয় প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই জামাতের সাথে সরকারি পি.এন গার্লস স্কুলের সামনের রাস্তায় রাজশাহীতে নারীদের একমাত্র ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া সকাল ৮টায় রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এবং সুবিধামত সময়ে নগরীর শতাধিক ঈদগাহ ও মসজিদ এবং জেলার সাড়ে তিনশতাধিক ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে পবিত্র ঈদ উল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম (রহঃ) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত শেষে দেশ-জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এসময় দেশ ও জাতির স্বার্থে সবার মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি রক্ষার ডাক দেওয়া হয়। এছাড়া জঙ্গি এবং সন্ত্রাসবাদ পরিহারের আহ্বান এবং নির্যাতিত ও নিপীড়িত ফিলিস্তিনের ওপর রহমত ও শান্তি বর্ষণের জন্য আল্লাহর দরবারে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
আরএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. জামিরুল ইসলাম জানান, ঈদের জামাতকে ঘিরে মহানগরীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
মেসেঞ্জার/সজিব