ছবি : মেসেঞ্জার
খুলনার পাইকগাছার দেলুটি ইউনিয়নে ডিঙ্গীবোড়া খাল নিয়ে ইজারাদার ও ১৫ গ্রামের মানুষ মুখোমুখি অবস্থানে থাকায় যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার দেলুটি ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা ইজাদারকে খালটি বুঝে দিলে ওই সময় স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক দারুনমল্লিক বাজারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার দ্বীপবেষ্টিত দেলুটি ইউনিয়নের ২২ নং পোল্ডারে ৬ কিলোমিটার লম্বা ১৫ একর ডিঙ্গি বোড়া নামে একটি খাল রয়েছে। যা বিগত ৫ বছর উন্মুক্ত ছিল।
কিন্তু চলতি বছর ওই খালটি উপজেলা থেকে চাঁদখালী ইউনিয়নের গজালিয়া মৎস্য সমিতি ইজারা নেয়। আর বর্তমানে এ খালটি ইজারা হওয়ায় ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় জনসাধারণ।
এ বিষয়ে স্থানীয় তরমুজ চাষী সনৎ বৈদ্য, নারায়ন মন্ডল, তন্ময় মজুমদার, শিশির সরকার সহ একাধিক তরমুজ চাষীরা জানান, আমরা ১৫ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ এই ডিঙ্গি বোড়া খালে বর্ষার পানি সংরক্ষন করে প্রায় ৮ হাজার বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। যাহা এ বছর প্রায় ১শ কোটি টাকা বিক্রি হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
তারা আরো বলেন, আমাদের ২২ নং পোল্ডারের চারিপাশে লবন পানি। সে কারণে সরকারী ও বে-সরকারী সংস্থা প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যায়ে খালটি খনন করে দেয়। খনন করা খালে বৃষ্টির পানি সংরক্ষন করে আমরা ধান, তরমুজ, খিরাই, তিল সহ বিভিন্ন ফসল ফলাই। খালটি ইজারা বাতিলের জন্য আমরা পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানাই।
এ বিষয়ে ইজারাদার বিধান চন্দ্র মন্ডল জানান, সরকারি বিধি মোতাবেক রাজস্ব দিয়ে আমরা ডিঙ্গি বোড়া খালের ইজারা পেয়েছি।
এ বিষয়ে দেলুটি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডল জানান, ডিঙ্গি বোড়া খালটি সরকারী ভাবে ইজারা দেয়া হয়েছে। ডিঙ্গি বোড়া খালটি ২০১৮ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার সর্বাধিক যে উন্নয়ন প্রকল্প ডেল্টা প্লানের আওতায় ২ কোটি টাকা ব্যায়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ও ব্লুগোল্ড খালটি খনন করে।
সে কারণে বর্ষা মৌসুমে মিষ্টি পানি সংরক্ষন করে এখানে কোটি কোটি টাকার তরমুজ, ধান সহ বিভিন্ন ফসল ফলিয়ে কৃষি বিপ্লব ঘটিয়েছে ২২ নং পোল্ডার বাসি। একটি ষড়যন্ত্রকারী মহল ডিঙ্গি বোড়া খালে লবন পানি ঢুকিয়ে এই অঞ্চলের কৃষকদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যবহত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকট আমাদের প্রানের দাবী খালটি যেন অবমুক্ত থাকে। আর খালটি অবমুক্ত থাকলে জননেত্রী শেখ হাসিনার আগামী দিনের এগিয়ে চলার কৃষি বিপ্লবের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
মেসেঞ্জার/সবুজ/আপেল