ঢাকা,  শুক্রবার
২৬ এপ্রিল ২০২৪

The Daily Messenger

‘ভবন নির্মাণ করতে অবশ্যই সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিতে হবে’

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:০০, ২৬ অক্টোবর ২০২২

‘ভবন নির্মাণ করতে অবশ্যই সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিতে হবে’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম , ছবি পিআইডি।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সবার জন্য বাস উপোযোগী দৃষ্টিনন্দন ঢাকা গড়ে তুলতে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত সকল শ্রেণীর মানুষ ঢাকায় বসবাস করে। তাই সবার বিষয়কে বিবেচনায় রেখেই ঢাকাকে গড়ে তুলতে হবে।বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘নগর কথা’- নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসন ও নাগরিক সুবিধাসমূহ: প্রেক্ষিত ঢাকা’ বিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।  

ওয়াল্ড ভিশন বাংলাদেশ, সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজ, ইউএন-হ্যাবিট্যাট এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প যৌথভাবে এই আয়োজন করে।এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, যেকোন শহরেই সকল শ্রেণীর মানুষের প্রয়োজন রয়েছে। একইভাবে রাজধানী ঢাকায়ও সকল শ্রেণীর মানুষের প্রয়োজন রয়েছে। তাই সকল শ্রেণির মানুষের জন্য সুন্দর ও নিরাপদ জীবন যাপনের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। ঢাকায় শ্রেণিভেদে মানুষের আয়ের তারতম্য রয়েছে।

পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের মূল্য নির্ধারণে মানুষের আয়ের বিষয়কে বিবেচনায় রাখতে হবে। একজন্য জোনভিত্তিক পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের দাম নির্ধারণ করা যৌক্তিক।তিনি বলেন, গুলশান, বারিধারা, বনানীসহ অভিজাত এলাকায় বসবাসরত মানুষ যে নাগরিক সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন যাত্রাবাড়ি অথবা পুরান ঢাকার মানুষ তা পায় না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমতাভিত্তিক উন্নয়নের কথা বলেছেন। সমাজ ও মানুষের মধ্যে বৈষম্য প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেননি।  

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরে উন্মুক্ত স্থান ও গাছপালা ধ্বংস করে একের পর এক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। নগরে অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা করা হচ্ছে। এগুলো কেন করা হচ্ছে, কার পরামর্শে হচ্ছে? সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। এখন সময় এসেছে নগরে ভবন নির্মাণ করতে গেলে অবশ্যই সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিতে হবে। সবুজ এলাকা ও উন্মুক্ত স্থান ধ্বংস করে কিছু করতে দেওয়া হবে না। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভাবতে হবে।

তিনি বলেন, এয়ারপোর্ট সড়কে বনানী চেয়ারম্যান বাড়ীর সামনে সিটি ফরেস্ট ছিল, সেটা ধ্বংস করে কেন সেতু ভবন করা হয়েছে। সেতু ভবনের পাশে আবার বিআরটিএ ভবন করা হয়েছে। কিছুদিন আগে আবারও গাছপালা কেটে ভবন নির্মাণ করতে গেলে আমি বন্ধ করে দেই। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের-ড্যাপের মধ্যে এবং নগর পরিকল্পনায় এই জায়গা গুলোতে যদি সিটি ফরেস্ট থাকে তাহলে ভবন ভাঙতে হবে। নগরের প্রয়োজনে, জনগনের স্বার্থে যেকোনো ভবন ভাঙতে হবে।

সব বিভাগের সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, যেকোনো কাজ দেশের স্বার্থে ও দশের স্বার্থে হলে আমি আপনাদের সঙ্গে যোগ দেবো। যদি নিজের স্বার্থে হয় তাহলে আমি আপনাদের সঙ্গে নেই। সুন্দর নগরায়ন করতে গেলে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। মিরপুর প্যারিস রোড সংলগ্ন মাঠটি প্লট আকারে কিভাবে বরাদ্দ দেওয়া হলো? ষাটের দশকে মাস্টার প্লানে ও ১৯৮৭ সালের ন্যাশনাল হাউজিং অথরিটির লেআউটেও এটি উন্মুক্ত স্থান হিসেবে দেখানো আছে। ড্যাপের নকশায়ও এটি উন্মুক্ত স্থান হিসেবে রয়েছে। এখানে কিছুতেই প্লট হতে পারে না। এসময় তিনি বর্তমান জলবায়ুর উদাহরণ টেনে বলেন, আমরা পরিবেশ ধ্বংশ করেছি। এখন পরিবেশ সেই ধ্বংশের প্রতিশোধ নিচ্ছে।

ডেইলি মেসেঞ্জার/এএইচএস

dwl
×
Nagad