ছবি : মেসেঞ্জার
হলুদ ও মরিচে মুরগীর ফিড ভেজাল দেয়ার অভিযোগে রাজা বাজারের মুন্সী মসলা ভান্ডার ও হলুদ মিল ঘর সিলগালা করে দিয়েছে বগুড়ার ভ্রাম্যমান আদালত। রবিবার দুপুরে বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রেবেকা সুলতানা পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত এই অভিযান পরিচালনা করে। এসময় মিল মালিকরা পালিয়ে যায়।
পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে একশ্রেনীর ব্যবসায়ী খাদ্য পণ্যে ভেজাল মিশিয়ে তা বিক্রি করে আসছিল। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার দুপুরে রাজা বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান শুরু হয়। এসময় শহরের রাজাবাজারে ‘মুন্সী মসলা ভান্ডার’ ও মুন্সী হলুদ মিল ঘরে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের টিম দেখতে পান হলুদ ও মরিচের গুড়ায় ধানের গুড়া ও পোল্টি ফিড মিশানো হয়েছে। বিষয়টি ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দোকান মালিক মোঃ আব্দুল মোত্তালিব মন্ডল ও নাজমূল নিশান পালিয়ে যায়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত মুন্সী মসলা ভান্ডার ও হলুদ মিল তালা দিয়ে সিলগালা করে দেন।
পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বগুড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বগুড়া শহরের রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজার সহ বিভিন্ন হাট বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে আসছে। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক রেবেকা সুলতানা জানান, পবিত্র রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। গত বছর মুন্সী মসলা এবং হলুদ মিল মালিককে সর্তক করে গিয়েছিলাম। এবার এসে দেখি একই অবস্থা তিনি পরিবর্তন হননি বরং তিনি হলুদ মরিচে পোল্টি ফিট মিশিয়ে বিক্রি করছে।
এ ধরনের খাদ্য খেয়ে জনসাধারণ নানা ধরণের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এ ধরনের ব্যবসা করতে দেয়া যাবে না। এদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করবো। দোকান মালিক যেহেতু পলাতক রয়েছে সে কারণে দোকান সিলগালা করে গেলাম। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মেসেঞ্জার/আলমগীর/তারেক