ঢাকা,  শনিবার
২৭ এপ্রিল ২০২৪

The Daily Messenger

আরও কমলো দেশের রিজার্ভ

মেসেঞ্জার অনলাইন

প্রকাশিত: ১৯:২৮, ২৮ মার্চ ২০২৪

আরও কমলো দেশের রিজার্ভ

ফাইল ছবি

সাম্প্রতিক সময়ে ডলার সংকটের মোকাবিলা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নানা উদ্যোগ নিয়েও সমস্যার সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না। যে হারে আমদানির দায় পরিশোধ করতে হচ্ছে সেই হারে রেমিট্যান্স বা রপ্তানি আয় আসছে না। ফলে আমদানির চাহিদা অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রা না থাকায় বাজারে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে।

গত মার্চ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল হাজার ৬৩৪ কোটি মার্কিন ডলার। গতকাল ২৭ মার্চ রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৪৮১ কোটি ডলারে। বিপিএম- অনুযায়ী রিজার্ভ নেমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৪৫ কোটি ডলারে। যা মার্চ ছিল হাজার ১১৫ কোটি ডলারে। অর্থাৎ ২১ দিনে গ্রোস রিজার্ভ কমেছে ১৫২ কোটি ডলার ( দশমিক ৫২ বিলিয়ন) এবং বিপিএম- কমেছে ১৬৯ কোটি ডলার ( দশমিক ৬৯ বিলিয়ন)

২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রোস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৭৩  বিলিয়ন ডলার আর বিপিএম- অনুযায়ী ছিল ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার।

তবে বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। প্রতি মাসে প্রায় বিলিয়ন ডলার হিসেবে রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে কষ্টসাধ্য হবে বাংলাদেশের জন্য। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হল বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সংকটের কারণে রিজার্ভ থেকে বাজারে প্রচুর ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া মাসে আকুর বিলও পরিশোধ হয়েছে। রপ্তানি রেমিট্যান্স প্রবাহ কম এসব কারণেই মূলত রিজার্ভ কমছে।

মেসেঞ্জার/হাওলাদার

dwl
×
Nagad